১৯৮৭ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করতে হতো। ওই সময় এই অর্থের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। ক্রিকেট বিশ্বকাপ যেন ভারতে আয়োজিত হতে পারে সেজন্য ইন্দিরা গান্ধী অনেক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় নানা ঘটনা ঘটে এবং কীভাবে এটি রিলায়েন্স কাপ নাম ধারণ করেছিল তা আলোচনা করা হবে আজকের আর্টিকেলে।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী মারা যান। তখন ভারতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট বিরাজ করছিল। যৌথ আয়োজক হিসেবে ভারতের সাথে পাকিস্তানও ছিল। ১৯৮৭ সালে ভালো স্পন্সর পাওয়া কোন সহজ বিষয় ছিল না।
ওই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থার কাছে এত অর্থ ছিল না। বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু যেখানে দরকার ছিল 4 কোটি রুপি সেখানে বিসিসিআই জোগাড় করতে পেরেছিল মাত্র ৩৮ লাখ রুপি।
ওই সময় সংস্থার সভাপতি রাজীব গান্ধীকে অনুরোধ করেন যেন বাকি অর্থ দেওয়া হয়। ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে ভারতের আবির্ভাব হওয়ার জন্য এ বিশ্বকাপ আয়োজন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাজীব গান্ধী রাজি হলেন।
ঠিক ওই সময় এক রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটে। আম্বানির প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পন্সর করতে রাজি হলেন। রিলায়েন্স শব্দটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হতে শুরু করে এবং কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করা হয়।
ওই বিশ্বকাপের প্রত্যেকটি অংশে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের নাম বদলে গিয়ে দাঁড়ালো রিলায়েন্স কাপ ১৯৮৭। আম্বানি প্রচুর অর্থ খরচ করলেন এবং ব্যবসায় খুব ভালো মতো ব্র্যান্ডিং করতে সক্ষম হলেন।
তিনি ওই বিশ্বকাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে রিলায়েন্স নামটি জানিয়ে দিলেন। ভারত ১৪টি স্টেডিয়াম রেডি করে ফেললো এবং সফলতার সাথে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফেললো। ইংল্যান্ডের হাত থেকে ক্রিকেটের মুক্তি পাওয়া এবং পরাশক্তি হিসেবে ভারতের আবির্ভাব ঘটার পেছনে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারত দেখিয়ে দিলো কীভাবে শূন্য থেকে শুরু করে সফলভাবে এ ধরনের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।