আপনার স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ায়—এ রকম বেশ কিছু কারণ ধরতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলোর মধ্যে কিছু আপনি নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে আপনার কিছুই করার নেই। বিশেষজ্ঞের বাতলে দেওয়া এই ৫ উপায় আপনাকে বাঁচাতে পারে স্ট্রোক থেকে।
নিউরোমেডিসিন বিভাগে কর্মরত ডা. সাদমান বলেন, ‘এককথায় সুস্থ–সবল থাকতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আমাদের উচিত দৈনন্দিন জীবনযাপনে স্মার্ট হওয়া, যেমন তেল ও চর্বিমুক্ত খাবার, ভাত ও চিনি কম, প্রচুর শাকসবজিসহ ভালো খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি।
এ ছাড়া প্রতিদিন অল্প থেকে মাঝারি শরীরচর্চা, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও অন্যান্য রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা, ইনসুলিন ও ওষুধ মিস না করা, প্রেগন্যান্সির সময়ে অতিরিক্ত সাবধান থাকা, সর্বোপরি নিজের ও পরিবারের সবার সচেতনতা অবলম্বন করার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা যায় অনেকাংশে।’ তাই বোঝাই যাচ্ছে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চাইলে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আসলে সবচেয়ে কার্যকর!
যেসব ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই, সেগুলোদের মধ্যে আছে—
আপনার বয়স, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বেই।
লিঙ্গ, আপনি পুরুষ হলে আপনার ঝুঁকি বেশি।
পরিবারের কারও যদি আগে স্ট্রোকের ইতিহাস থাকে।
আপনার আগে যদি একটি মিনি স্ট্রোক বা ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) হয়ে থাকে।
স্ট্রোকের যেসব কারণ আপনি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন—
উচ্চ রক্তচাপ
অনিয়মিত পালস
উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল
ডায়াবেটিস
ধূমপান
অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া
ব্যায়াম না করা
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত মদ্যপান
কীভাবে বুঝবেন যে কারও স্ট্রোক হচ্ছে?
ইংরেজিতে বলা হয়, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ভাবুন ফাস্ট (FAST) বা এফএএসটি। এই পরীক্ষা হলো সবচেয়ে সহজে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো মনে রাখা আর চিনতে পারার উপায়। ফাস্ট পরীক্ষাটি করতে নিচের প্রশ্নগুলো করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে লক্ষ করুন—
ফেস বা মুখ: খেয়াল করে দেখুন, তার মুখ কি নিচের দিকে ঝুলে পড়েছে?
আর্মস বা হাত: সে কি দুই হাতই ওপরের দিকে তুলতে পারছে?
স্পিচ বা কথা: তার কি কথা জড়িয়ে যাচ্ছে?
টাইম বা সময়: এই লক্ষণগুলো মিলে গেলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখবেন, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এমনকি এই লক্ষণগুলো যদি খুব অল্প সময়ের জন্যও দেখা যায়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যান। যত দ্রুত এর চিকিৎসা শুরু করবেন, ততই রোগীর জন্য ভালো। নয়তো মস্তিষ্কে চাপের কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। স্ট্রোকের দ্রুত চিকিৎসা হলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠাও সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।