জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়া জেলায় শাজাহানপর উপজেলার শাহানগর সবজি নার্সারি পল্লীতে কৃষকদের পদচারণায় মুখর।গত তিন বছর করোনা কালে ক্রেতা তেমন ছিলনা ।এখন করোনার সেই আগের মত দাপাদাপি নেই। গত ৩ বছরের ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান জেলার বিভিন্ন সবজি নার্সারী মালিক ও তাদের সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান,এ্ শাহ নগরে সবজি চারা পল্লীতে এক মৌসুমে ভলো হওয়ায় নতুন নতুন জেলা থেকে কৃষকরা আসছে চারা নিতে।
শাহ নগরের প্রায় ২৫০ টি নার্সারী মালিকদের নার্সরী থেকে মরিচ, বেগুন টামেটো, বেগুন, ফুল কপি, বাাঁধা কপি, পালং শাকের চারা কিনতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক এসে অবস্থান করছে শাহ নগরের। ৩০ বছর আগে স্বল্প পরিসরে সবজি চারা উৎপাদন হতো এখন উপজেলা চুপি নগর ইউনিয়নের শাহ নগরের অঞ্চল জুড়ে সবজি চারার চাষ করছে নার্সারী মালিকরা।
করোনা ও বর্ষা ক্ষতিগ্রস্ত শহাজাহানপুরের শাহ নগরের সবজি নার্সারী পল্লীর মালিকরা আবার শীতকালিন সবজির চারা তৈরিতে ঘুরে দাঁড়াতে প্রাণপন লড়াই করে যাচ্ছে। বগুড়ার শাজাহানপুরে শাহনগর এলাকায় গড়ে ওঠেছে দেশের সর্ব বৃহৎ সবজি নার্সারীী পল্লী।এখানে রীতিমতো সবজির চারা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে।
১৯৮৫ সালের দিকে প্রথমে শাহনগর বড়পাথার এলাকায় সবজি নার্সারী ব্যবসা শুরু হয়।বর্তমানে শাহনগর,বড়পাথার,চুপিনগর,দুরুলিয়া,বৃ-কুষ্টিয়া,খোট্রাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামজুড়ে গড়ে উঠেছে কৃষি বিভাগের নিবন্ধনকৃত ২৫০ ছোট বড় নার্সারী।এখানে ফুলকপি,বাঁধাকপি,টমেটো,বেগুন,পেঁপে সহ হাইব্রিড জাতের ৬/৭ রকমের মরিচ। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষসহ হাজারো মানুষের। শাহনগরের নার্সারী পল্লী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চারা নিতে ভিড় করছে। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা কিনতে আশা মানুষের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। নার্সারী গুলো ঘুরে ঘুরে পছন্দের চারা সংগ্রহ করছে কৃষকরা। রাতে বিশ্রাম নিয়ে সকালে চারা নিয়ে রওনা হয় কৃষক। বিগত বছর গুলোতে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আগাম শীতকালীন সবজি চারা নিতে দেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতায় মুখরিত থাকে এ অঞ্চল।
শীতকালীন আগাম সবজি বীজতলা বৃষ্টি থেকে রক্ষায় বাঁশের তৈরি ‘বেতি’গুলো রিংয়ের মতো বসিয়ে উপরে সাদা,কালো পলিথিন দিয়ে পুরো বীজতলা মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।বীজতলা বীজ ফেলার পর ঝুরঝুরে মাটি ছড়িয়ে দিতে হয়।বীজতলা প্রস্তুতে জমির মাঝ বরাবর নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ছোট ছোট আইল ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালা তৈরি করে বীজ বপন করা হয়েছে।
এ্ এলাকয়ি ২ টি মলিক সমিতি আছে । একটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মো: আমজাদ হোসেন অন্যটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উজ্জল হোসেন। শাহ নগর নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান এবার শাহনগরে প্রায় ২২০ থেকে ৩০০ সবজির বীজ বপন করে চারা তৈরি করা হয়েছে। এ মৌসুম তারা প্রায় ১০ কেটি টাকার চারা বিক্রি হয়ে থাকে।শীতকালীন সবজি মধ্যে টমেটো,মরিচ,কপি বীজ বপন করা হয়। এ বছর (তাদের ভাষায়) পেনিয়াম, গ্রিন সুপার, বিজলীসহ কয়েকজাতের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা হাজার । বাঁধা কপির চারা ৮০ পয়সা পিস, ফুলকপি ১ টাকা পিস, বেগুনের একশত চারা ৫০ টাকা, পালং শাকের চারা ২০ টাকা কেজিতে বেজা কেনা চলছে।
জিহাদ – জিসান নার্সারীর মালিক আশরাফুল জানান, এবার তাদের বেচা-কেনা ভালই হচ্ছে। তিনি আশা করছেন গত ৩ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। এ পর্যন্ত চারা বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা চারা । বগুড়ার সাযিাকান্দির কৃষক আফজাল হোসেন জানান, তিনি মরিচের শুধু মরিচের চারা নিতে এসেছেন। তিনি চরের ৩০ বিঘাতে মরিচ লাগাবেন। তিনি আশা করছেন এবার মরিচে ভালোফ লন হবে। লাভ ভালো হওয়ার আশা করছেন।
শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানিয়েছেন,শাহ নগর সহ আশেপাশে গড়ে ওঠা নাসার্রী গুলো দেশের সবজির চারার চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।জুলাই মাসে বৈরী আবহাওয়ায় জমি প্রস্তুত করতে না পারায় নার্সারী গুলোতে বিক্রি কিছুটা কম ছিল। এখন আবাওয়া ভালো হওয়ায় তারা আবার আশার আলো দেখছেন। কয়েক দিন হলে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় নার্সারী গুলোতে নতুন উদ্যমে সবজি বীজতলায় চারা তৈরি, বিক্রি ও পরিচর্যা ব্যস্ততা বেড়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।