বিনোদন ডেস্ক : বর্তমানে সারা ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে সাউথের আধিপত্য। বলিউডের বাজারকে একদম শেষ করে দিয়েছে তারা, দক্ষিণী ছবিগুলির এক একদিনের আয় বলিউডের ছবিগুলির সর্বমোট আয়ের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মানুষের মাঝে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন দক্ষিণের বিভিন্ন পরিচালক, অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। বলিউড ছেড়ে মানুষের এখন কৌতূহল গিয়ে পড়েছে এই দক্ষিণের তারকাদের ওপর। এরইমধ্যে গত ২০ মে ছিল বিখ্যাত অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর এর জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যেই তার আসন্ন ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেন ছবির নির্মাতারা।
কিন্তু এরই মাঝে নেটিজেনরা এনটিআর এবং পরিচালক প্রশান্ত নীলের যুগ্মভাবে তৈরি হতে চলা প্রথম ছবি দেখে খুব উচ্ছসিত হননি, বরঞ্চ তারা সেই পোষ্টারের সমালোচনা শুরু করেন। আসলে নেট জনতা প্রশান্ত নীলের বিভিন্ন মুভিগুলির চরিত্রের মধ্যে, তাদের ফার্স্ট লুকে একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করে যেখানে শুধুই ধূসর টোন রয়েছে। এরপর অনলাইনে এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় চর্চা।
এমনকি নেট মাধ্যমে প্রশান্তকে বর্ণান্ধ বলা থেকে শুরু করে তিনি যে সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটাই পদ্ধতি অনুসরণ করেন এও বলেন অনেকে। KGF খ্যাত এই পরিচালককে নিয়ে রীতিমত নিন্দার ঝড় বয়ে যায় পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তো তার সদ্য মুক্তি পাওয়া KGF মুভিকে নিয়ে তাকে কটাক্ষ করে বলেন যে, “প্রশান্ত নীল কেজিএফ এর সাফল্য দ্বারা এতটাই বিস্মিত যে, বর্তমানে তার প্রতিটি পরিচালনাতেই একই রঙের গ্রেড এবং থিম ব্যবহার করছে, কিন্তু কেন? এবার তার কেজিএফ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত”, এর সাথে তিনি এনটিআর এর জন্য শুভকামনাও করেন।
অনেকে আবার তাকে পরিচালক রামগোপাল ভার্মার সাথে তুলনা করেন, তাদের মতে দুজনেই পরপর একই ধরনের সিনেমা বানিয়ে যান। একজন তার কেরিয়ারের ওপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়ে বলেন যে, “প্রশান্ত নীলের এবার একই রকমের সিনেমা বানানো বন্ধ করা উচিত, তা নাহলে এর প্রভাব পড়বে তার ক্যারিয়ারে এবং তার নতুন এবং ভিন্ন ধারণা সম্পর্কেও চিন্তা করা উচিত।”
একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, এগুলো শুধুমাত্র প্রশান্ত নীলই তৈরি করতে পারেন। আসলে তিনি নাকি ডার্ক টোন দিয়ে এক মাল্টিভার্স তৈরির চেষ্টা করছেন, এবং সবশেষে তিনি এও অনুরোধ করেছেন যাতে তিনি এই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।