নানা কারণে আমাদের শরীর থেকে ইলেকট্রোলাইটস কমে যায়। শরীরের তরলের মাত্রা কমে গেলে ইলেকট্রোলাইটসও কমে যায়। অসুস্থতা বা ডায়রিয়ার কারণে কমে যেতে পারে ইলেকট্রোলাইটস। শরীরের অন্ত্রে সিবো নামের ব্যাকটেরিয়া অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে ইলেকট্রোলাইটসের প্রয়োজনীয় খনিজের অভাব দেখা যায়।
কেউ যদি প্রচুর অ্যালকোহল পান করেন, তিনি পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকবেন। এতে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। অফিসে কঠিন চাপে থাকলে অনেকে কাপের পর কাপ কফি খেতে থাকেন, এর প্রভাব শরীরের ইলেকট্রোলাইটস স্তরে পড়ে। তখন প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশি বেশি খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। আপনি শরীর থেকে কতটা তরল হারাচ্ছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি ঘামেন, সেটা বাস্তব ও স্বাভাবিক বিষয়। যদি গরম বা আর্দ্র অবস্থায় ম্যারাথনে দৌড়ান, তখন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে হাইপোনেট্রেমিয়া বা সোডিয়াম কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। জিম করার সময় নিয়মিত পানি পান করলে এমন বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। যদি আপনি অস্বাভাবিকভাবে ঘামেন আর আপনার পোশাকটি শুকিয়ে গেলে কিছু সাদা দাগ তৈরি করে, তাহলে বলা যায় আপনি আসলে অনেক ইলেকট্রোলাইটস হারাচ্ছেন।
ওজন ও শরীরের গঠনেও ইলেকট্রোলাইটস ভূমিকা রাখে। মানুষের পেশি চর্বির চেয়ে বেশি পানি সঞ্চয় করে। কারও কম চর্বি ও বেশি পেশি থাকলে তার শরীরে ওজন হয় বেশি। কম পেশি বহনকারী ব্যক্তির তুলনায় তাদের শরীরে পানির পরিমাণ বেশি থাকবে। তখন ইলেকট্রোলাইটস পানীয় আপনাকে সারা দিন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।