লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনারা যে সকল মানুষেরা সাধারণত দূরপাল্লার ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন তারা অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে এই সকল ট্রেনগুলির শেষ বগিতে একটি ক্রস চিহ্ন আঁকা থাকে! তবে আপনি কি জানেন এর নেপথ্যে থাকা কারণ ঠিক কি? বলা হয় থাকে, আপনার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শেষ বগিতে ক্রস চিহ্ন আঁকা হয়। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পড়ুন-
আসলে কেবলমাত্র দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই ক্রস চিহ্নের ব্যবহার করা হয় ট্রেনের শেষ বগিতে। উদ্দেশ্য একটাই, শেষের এই ক্রস চিহ্ন বুঝিয়ে দেয় এরপরে আর কোন বগি নেই, এটিই শেষ বগি। বিশেষত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রেলকর্মীরা এই শেষ বগি দেখেই কর্মীরা বুঝতে পারেন যে ট্রেনটি স্বাভাবিক ভাবে চলছে অর্থাৎ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে সকল বগি। কোন বগি আলাদা হয়ে যায়নি পথে। অর্থাৎ প্যাসেঞ্জারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরনের চিহ্ন এই ক্রস।
কখনো আপনি যদি ক্রস ব্যতীত কোন ট্রেন চলতে দেখেন, তাহলে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ট্রেনটি স্বাভাবিকভাবে চলছে না অর্থাৎ রাস্তাতেই আলাদা হয়ে গিয়েছে ট্রেনের শেষ বগি। তাই রেল কর্তৃপক্ষের এরূপ বিষয় দৃষ্টিগোচর হলে তারা তৎক্ষণাৎ সর্তকতা জারি করেন, পাশাপাশি আলাদা হয়ে যাওয়া বগির তৎক্ষণাৎ সন্ধান শুরু করেন। এই বিষয়টি এতটাই বিশেষভাবে জরুরী যে অনেকক্ষেত্রে ক্রস চিহ্ন আঁকা না থাকলে কিংবা এলইডি আলোর মজুদ না থাকলে এক্ষেত্রে শেষ বগির গায়ে লেখা থাকে “এল ভি” অর্থাৎ লাস্ট ভেহিকেল।
রাত্রিবেলায়, কুয়াশায় মোড়া দিনে কিংবা মেঘমন্ডিত আবহাওয়ায় দৃষ্টি কমে এলে ট্রেনের এই ট্রিকটি যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর করতে শেষ বগিতে লাগানো হয় একটি এলইডি আলো। দপ দপ করতে থাকা এই আলোর জ্যোতির মাধ্যমে যাতে রেল কর্মীদের বুঝতে অসুবিধা না হয় অক্ষত অবস্থায় চলছে ট্রেনটি। দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নিরাপত্তাজনিত কারণে নেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।