মানুষের পাশাপাশি কুকুর, বিড়াল, হাঙর এবং শিম্পাঞ্জিদের মতো অনেক প্রাণীই হাই তোলে। একজন হাই তুললে অন্যরাও দেখাদেখি একই কাজ করে। তবে হাই তোলা সংক্রামক হলেও সবাই এতে আক্রান্ত হয় না। প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ অন্যকে হাই তুলতে দেখলে, এমনকি কোনো ছবিতে দেখলে বা এ সম্পর্কে পড়লেও হাই তোলে।
হাই তোলার সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক আছে। মানুষ এবং অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, হাই তোলা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত আচরণ। ২০১০ সালে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজরিগার (Budgerigar) পাখি শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বেশি হাই তোলে।
মানুষ সাধারণত ক্লান্ত বা বিরক্ত হলে হাই তোলে। প্রাণীদের মধ্যেও একই আচরণ দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে থাকা ইঁদুরদের মস্তিষ্কের তাপমাত্রা এদের মূল দেহের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। হাই তোলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের তাপমাত্রা কমে। এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়তে পারে।
সংক্রামক হাই তোলার কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। এটি সহানুভূতি, বয়স ও তাপমাত্রার সঙ্গে যুক্ত হলেও এর মূল কারণ এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি। যারা হাই তোলেন না, তাঁরা হয়তো কম বয়সী, বৃদ্ধ বা জিনগতভাবে হাই না তোলার প্রবণতা নিয়ে জন্মেছে। সহানুভূতির অভাব তাঁদের নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।