আমেরিকার টেক্সাসে মর্মান্তিক ঘটনায় অনেক নিষ্পাপ শিশু হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। তাদের পরিবার এখনও শোকাগ্রস্থ ও পুরো দেশে এখনও এ জঘন্য ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গতকাল অস্ত্রের মালিকানা নিয়ে ঐতিহাসিক বিল পাস হয়। অনেকে অস্ত্র পুরোপুরি নিষেধ করে দিতে বলেন। কিন্তু কোন ঘটনাই সমস্যার মূলে পৌঁছাতে পারবে না। আমেরিকার দরকার যোগ্য সন্তান গড়ে তোলার জন্য যোগ্য পিতার। সন্তান যেনো পিতার আদর ও শাসন থেকে বঞ্চিত না হয়।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা স্কুলে হামলা করেন তাদের ৭৫ শতাংশই ব্রোকেন পরিবার থেকে এসেছে যেখানে সন্তানদের সাথে বাবা-মা অথবা দাদা-দাদীর ভালো সম্পর্ক নেই। ডিভোর্স বা সেপারেশন এর পর পিতা-মাতা আলাদা হয়। সন্তান বাবার কাছ থেকে সাপোর্ট পায় না। এর ফলে ঐ সন্তান নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।
টেক্সাস স্কুলে গুলি চালানো রামোস broken family থেকে এসেছে। পিতার প্রতি তার অনেক অভিযোগ। মা থেকেও দূরে। আপনি কেমন বাবা ছিলেন তা জানতে চাইলে, আপনার সন্তানদের দিকে তাকাবেন না, আপনার নাতি-নাতনিদের দিকে তাকান। পরিবার, বাবা এবং মা উভয়েই দেশের জন্য তাদের ভূমিকা পালন করে, এটাই আমেরকার ভিত্তি হওয়া উচিত।
মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮০ শতাংশ কিশোর পিতৃহীন বাড়ি থেকে আসে। পিতৃহীন শিশুদের মানসিক এবং আচরণগত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ থেকে ২০০% বেশি। পিতৃহীন বাড়ির একটি শিশু মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার করার সম্ভাবনা ৬৮% বেশি, অল্প বয়সে যৌনতায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং হিংসাত্মক অপরাধ করার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি হয়ে থাকে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পিতৃহীন বাড়ি থেকে আসে। ৭১ শতাংশ শিশু যারা হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে না তারা পিতৃহীন বাড়ি থেকে আসে। আমেরিকার গৃহহীন এবং পলাতক শিশুদের নব্বই শতাংশ পিতৃহীন। কিশোর প্রতিষ্ঠানে যেসব ছেলে-মেয়েরা থাকে তাদের বেশিরভাগ বাবা ছাড়াই বড় হয়েছে।
পিতৃহীন কন্যা যারা বিবাহ করেন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের হার ৯২% বেশি। পিতৃহীন পুত্রদের বৈবাহিক ব্যর্থতার সম্ভাবনা ৩৮% বেশি। আজ কারাগারে বাস করা ৮০ শতাংশই পিতৃহীন ঘরে বেড়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সন্তান কখনও নিজেদের জন্মদাতা পিতাকে দেখেনি। তাদের অনেকেই নৈতিকতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমেরিকায় পিতা যদি যোগ্য সন্তান গড়ে তুলতে পারে তাহলে তাকে সুপারহিরো হিসেবে গণ্য করা হয়। এখন আমেরিকার দরকার সুপারহিরোর সমতুল্য পিতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।