আমাদের গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে এবং বিজ্ঞানীরা এটি বের করার চেষ্টা করছেন। পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত লোহার কোর প্রতি বছর প্রায় এক মিলিমিটার করে প্রসারিত হচ্ছে, কারণ বাইরের কোরে গলিত লোহা ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়। অনেক দিন ধরে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই প্রক্রিয়া পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে সচল রাখে এবং ক্ষতিকারক সৌর বায়ু থেকে আমাদের রক্ষা করে।
কিন্তু রহস্য হচ্ছে যে, ভিতরের কোর অসমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক দিক অন্যটির চেয়ে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এই অপ্রতিসম বৃদ্ধি অনেক দিন ধরে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা জানে না কেন এটি ঘটছে বা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী হবে।
কী ঘটছে তা বোঝার জন্য, আমাদের পৃথিবীর স্তরগুলি সম্পর্কে কিছুটা জানতে হবে। ভিতরের কোরটি বাইরের কোর দ্বারা বেষ্টিত, যা গলিত লোহা এবং নিকেলের একটি স্তর। এই স্তরটি আবরণ দ্বারা বেষ্টিত, যা কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত এবং এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরু স্তর।
বাইরের কোরের গলিত লোহা ঠান্ডা হয়ে শক্ত হওয়ার সাথে সাথে এটি ভিতরের কোরের নতুন স্তরে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় স্ফটিককরণ, এবং অনেক দিন ধরে চলে আসছে।
অভ্যন্তরীণ কোরের অসম বৃদ্ধি পৃথিবীর স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যেভাবে তাপ স্থানান্তরিত হয় তার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার নীচের জোনে টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষ হয় এবং একটি প্লেট অন্যটির নীচে চলে যায়। কুলার প্লেটটি ম্যান্টলে ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে এটি আশেপাশের শিলাকে শীতল করে এবং একটি তাপমাত্রার গ্রেডিয়েন্ট তৈরি করে। এই গ্রেডিয়েন্ট গভীর স্তরগুলিকে তাদের তাপ কমাতে সহায়তা করে যা অভ্যন্তরীণ কোরকে শক্ত করতে সাহায্য করে।
কিন্তু কেন এই প্রক্রিয়া পৃথিবীর একপাশে অন্যের চেয়ে বেশি ঘটবে? এটা সম্ভব যে ইন্দোনেশিয়ার নীচে সাবডাকশন জোনটি সেই দিকের ভিতরের কোরটিকে আরও দ্রুত শীতল করে দিচ্ছে। যাইহোক, এটাও সম্ভব যে এমন অন্যান্য কারণ রয়েছে যা বিজ্ঞানীরা এখনও আবিষ্কার করেননি।
অভ্যন্তরীণ কোরটির ব্যাসার্ধ প্রায় 750 মাইল এবং তাপমাত্রা 9,000 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি। পৃথিবীর বাকি অংশের তুলনায় এটি একটি ক্ষুদ্র স্তর। যেহেতু বিজ্ঞানীরা অভ্যন্তরীণ কোর এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অধ্যয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা নতুন রহস্য উন্মোচন করতে পারবে বলে সবাই আশাবাদী।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel