যখন পেঁচার কথা বলা হয় তখন আপনি ভাবতে পারেন এমন এক ধরনের পাখি যা রাতের বেলায় দেখতে বেশ ভয়ংকর মনে হতে পারে। তাদের চোখ অন্যান্য পাখিদের তুলনায় বেশ অদ্ভুত। আজ কেমোফ্লেজ পেঁচার কথা বলা হবে যা শনাক্ত করা সত্যিই কঠিন।
কেমোফ্লেজ শব্দটি সেসকল প্রাণী বা বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যারা লুকিয়ে থাকতে পারে, ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে এবং সনাক্ত করা সত্যি কঠিন হয়। কেমোফ্লেজ পেঁচা এমনভাবে লুকিয়ে থাকতে পারে যেনো মনে হয় সাধারণ চোখে তাদের খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন।
লুকিয়ে থাকতে পারার এই স্কিলকে কাজে লাগিয়ে তারা বিভিন্ন প্রাণী শিকার করে এবং খাদ্য হিসেবে তা গ্রহণ করে। তার মানে এই বিশেষ স্কিল তাকে খাদ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
ভারতীয় বন পরিষেবা অফিসার সুশান্ত নন্দা তার টুইটার একাউন্টে শেয়ার করা কেমোফ্লেজ পেঁচার ছবিটি অনেক ভাইরাল হয়েছে। প্রথমে পেঁচাটিকে খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন মনে হয়েছে।
আপনি এটিকে একেবারে নিখুঁত ছদ্মবেশ বলতে পারেন। ছদ্মবেশ ধারণ করার ক্ষেত্রে তারা প্রকৃতির সিস্টেমকে ব্যবহার করে থাকে । দিনের সময় এসব পেঁচা শনাক্ত করা কঠিন। আর রাতের আকাশে এ কাজ একেবারেই অসম্ভব।
এই অভিনব বৈশিষ্ট্যের কারণে তারা যেকোনো পরিবেশে অভিযোজিত হতে পারে। এ পেঁচা দেখতে একই সাথে আকর্ষণীয়। তাদের শিকারের কাছে এ পেঁচা কার্যত নিজেকে অদৃশ্য রাখতে পারে।
কেমোফ্লেজ পেঁচার পালক এমনভাবে গঠিত যে তারা প্রকৃতির গাছে এবং পরিবেশের সাথে সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে। প্রকৃতির পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য কেমোফ্লেজ পেঁচার দক্ষতা প্রশংসার দাবি রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।