আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যৌ’ন ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে জিনসেং মূলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারাবিশ্বে। যৌ’ন উত্তেজনা বাড়াতে জিনসেং মূলের জুড়ি মেলা ভার। জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে সেই মূল খুঁজে পান দুই কৃষক।
জঙ্গলের মধ্যে থেকে পাওয়া ওই জিনসেং মূলটির ওজন প্রায় একশ ১৩ কেজি। বিশাল আকৃতির সেই মূলের ওষুধিগুণ সম্পর্কে জানা থাকলেও বিশ্ব বাজারে মূলটির দাম সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না ওই দুই কৃষকের। স্থানীয় বাজারে ৫৪ হাজার টাকায় ওই দুই কৃষকের কাছ থেকে মূলটি কিনে চান এক ব্যবসায়ী। মূলটির এত দাম পাওয়া যাবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি তারা।
ফলে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যান ওই দুই কৃষক। নগদ টাকা হাতে পেয়ে খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরে যান তারা। দুই পরিবারে তখন উত্সবের আমেজ। খুশিতে দিশেহারা ওই দুই কৃষক ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে জিনসেং মূলটি ওই ব্যবসায়ী শহরের এক ভেষজ জড়িবুটির বড় আড়তদারকে প্রায় চার লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। গল্প অবশ্য এখানেই থেমে থাকেনি। দৈত্যাকার ওই মূলটি বেচে দেন ওই আড়তদারও। তিনি ওই জিনসেং মূলটি শহরের এক বিত্তবান ওষুধ নির্মাতা সংস্থার মালিকের হাতে তুলে দেন প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের গুয়াং ডনের পাশের একটি গ্রামে। গ্রামের ওই দুই কৃষকের নাম লিপং এবং পিনিং। বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে একশ ১৩ কেজি ওজনের দৈত্যাকার ওই জিনসেং মূলটি যে ব্যক্তি কিনেছেন, তিনি এটি থেকে আরো লাভ করবেন।
যে আড়তদার চার লাখ ৯০ হাজার টাকায় মূলটি কিনেছেন, তিনিও দুই কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। গুয়াং ডনের ওই স্থানীয় ব্যবসায়ীও প্রায় চার লাখ ৩৬ হাজার টাকা রাতারাতি লাভ করেছেন।
এদিকে লিপং আর পিনিং হয়তো আক্ষেপে বুক চাপড়াচ্ছেন। কোটি কোটি টাকার দুষ্প্রাপ্য জিনসেং মূলের মূল্য না জেনে তারা যে পানির দরে বেচে দিয়েছেন। আক্ষেপ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।