অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক নেটিজেনদের, এমনটা বলাই যায়। কখনো কেউ কোনো মন্তব্য করলে, জবাব দিতেও ভোলেন না অভিনেত্রী। তা সে যতই কটাক্ষ ভরা হোক, নিজের মতো করে উত্তর দেন তিনি।
বুধবার গাড়িতে বসে একটি সেলফি শেয়ার করলেন শ্রীলেখা। গায়ে শাড়ি, সাদামাটা মেকআপ হলেও বেশ গাঢ় করে ব্লাশ লাগিয়েছেন। ঠোঁটে ব্রাউন লিপস্টিক। নাকের নকল নথ পরেছেন ঠোঁটে। আর লিপস্টিক দিয়ে কপালে ও থুতনিতে দাগ কেটেছেন। এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারতীয় বাঙালির ভাইকিং ভার্সন’।
ভাইকিং বলতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার (বর্তমান ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) সমুদ্রে বসবাসকারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা ও জলদস্যুদের দলকে বোঝায়, যারা অষ্টম শতক থেকে একবিংশ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকাজুড়ে লুটতরাজ চালায় ও বসতি স্থাপন করে।
শ্রীলেখার এই পোস্টেই এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘কে দিল লাভ বাইট?’ যার জবাবে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কোথায় ভালোবাসা, তারপর তো কামড়। নিজেই পেন্সিল দিয়ে ভাইকিং সাজার চেষ্টা করলাম’।
শ্রীলেখার অনুরাগী এই মন্তব্য যে মজার ছলে করেছেন তাতে সন্দেহ নেই। অভিনেত্রীর মন্তব্যের জবাবে আধিজিৎ কুণ্ডু লেখেন, ‘আপনি যে নারী ভাইকিং তাতে সন্দেহ নেই। শুধু আইসল্যান্ড, নরওয়ে না গিয়ে কলকাতায় এসেছেন।’
আরেকজন লেখেন, ‘দক্ষিণ ভারতীয় রাই সম্প্রদায়ের রানি লাগছে পুরো’। কেউ আবার শ্রীলেখার সাজ নিয়ে প্রশংসাও করেছেন।
ঠোঁটকাটা হিসেবে বেশ বদনাম শ্রীলেখার। তা সে মোদী-মমতা হোক বা ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ, প্রয়োজন পড়লে যে কারও দিকে আঙুল তুলতে দ্বিধা করেন না অভিনেত্রী!
তিনি বলেন, আজকাল এত বেশি সত্যি কথা বলেন, যে কাজ পান না টলিউডে।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা-প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন শ্রীলেখা। এমনকী তার ছবি এবং ছাদ জায়গা করেছে দেশ-বিদেশের অনেক নামী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও।
২০০৩ সালে শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ১০ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। তারপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। একমাত্র মেয়ে আর কাজ নিয়েই কাটছে জীবন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।