Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কোন মেয়র প্রার্থীর কী পরিমাণ সম্পত্তি, জানা গেল হিসাব
    জাতীয়

    কোন মেয়র প্রার্থীর কী পরিমাণ সম্পত্তি, জানা গেল হিসাব

    Sibbir OsmanJanuary 2, 2020Updated:January 2, 202010 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণী দিয়েছেন চার মেয়র প্রার্থী।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী দুজনই পেশায় ব্যবসায়ী। সম্পদের হিসাবে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলামের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল। তবে দায়-দেনা বেশি আতিকের।

    অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তার প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর চেয়ে সম্পদশালী। বার্ষিক আয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। নিজের ও স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১১৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ কোটি ৭৩ লাখ। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বার্ষিক আয় ৯ কোটি টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ পাঁচ কোটি ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ৭৮ লাখ টাকা। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হলফনামায় উল্লেখিত মায়ের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি তিনি। ওই সময় মায়ের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ৬১ লাখ ৩৭ হাজার ২২২ টাকা, যা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।

    এর আগেও তারা যখন বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন, সেই হলফনামার সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্নেষণে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

    আতিকুল ইসলাম : গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উত্তর সিটির উপনির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ওই সময়ের হলফনামায় এক কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গৃহঋণের উল্লেখ করেছিলেন। এবার ওই ঋণ দেখিয়েছেন ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া আইএফআইসি, ইস্টার্ন ও শাহ্‌জালাল ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ৫৯১ কোটি টাকা। তার নিজের নামে বাড়ি থাকলেও নেই গাড়ি। তার ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার বার্ষিক আয় এক কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি বি.কম (পাস)।

    কৃষি খাতে আগে তার আয় ছিল তিন লাখ ৫৫ হাজার টাকা; এখন হয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাড়িভাড়া থেকে আয় আগে ছিল ৩৬ লাখ ৫০ হাজার; এখন হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। ব্যবসা (পারিতোষিক) থেকে তার আগে আয় ছিল ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা; এখন হয়েছে ৬৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আগে আয় হতো ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭১ টাকা। এবার দেখিয়েছেন ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

    আগের হলফনামায় তার স্ত্রী শায়লা শগুফতা ইসলামের চিকিৎসা পেশা থেকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ছিল পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯২ টাকা। এবার দেখিয়েছেন ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ থেকে এবার আতিকুল ইসলাম নিজ নামে আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ৪২ হাজার টাকা। এ ছাড়া তিনি মৎস্য খাতে নিজের নামে আট লাখ ২৫ হাজার এবং স্ত্রীর নামে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন।

    অস্থাবর সম্পদে নিজের নামে নগদ আগে ছিল শুধু ৮৭ হাজার ৬৩ টাকা; এবার রয়েছে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে নগদ (ব্যবসার পুঁজিসহ) দুই কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ টাকা উল্লেখ করেছেন।

    বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকে জমা আছে এক হাজার ৫৮৩ ডলার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আগে জমা ছিল এক কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৯ টাকা; এখন রয়েছে ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯০ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১২ লাখ ২৭ হাজার। এ ছাড়া তার তিন কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে; আগের বছরেও একই ছিল। তার দুই লাখ টাকার সোনা, পাঁচ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং পাঁচ লাখ টাকার আসবাব রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে আতিকের নিজের নামে চার কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২৯১ টাকার (পরিমাণ ১০৭৪ দশমিক ০৩৫ শতাংশ কৃষিজমি) এবং স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ এক হাজার ৭৫৩ টাকার কৃষিজমি রয়েছে। তার নামে অকৃষিজমি রয়েছে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৩ টাকার; বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের অর্জনকালীন মূল্য দুই কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার; মৎস্য খামার এক লাখ ২০ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার (বায়নাকৃত) বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

    তাবিথ আউয়াল : মাত্র ৪২ বছর বয়সী তাবিথ আগে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মালিক থাকলেও এবারে তিনি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন। বিপুল সম্পদের সঙ্গে রয়েছে তার বিপুল ঋণও। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। এমএসসি পাস এই প্রার্থীর পেশা ব্যবসা হলেও কৃষি খাত থেকে তার আয় এক লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। যদিও এর আগে ২০১৫ সালের সিটি ভোটে মেয়র পদে অংশ নিতে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখিয়েছিলেন ৯৮ লাখ টাকারও বেশি। বাড়ি ভাড়া থেকে তিনি আগে পেতেন দুই লাখ; এখন পান ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পারিতোষিক থেকে আগে তার আয় ছিল ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা; এবার দেখিয়েছেন ৬২ লাখ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশে আগে আয় ছিল ২১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা; এখন তা ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। পেশা থেকে আগে আয় হতো এক লাখ ৪০ হাজার; এখন হয় এক লাখ টাকা। এর বাইরে এবারে ব্যবসা থেকে আরও ৬০ লাখ ৭১ হাজার টাকার আয় দেখিয়েছেন এবং আরও দুই কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন শেয়ার এবং ইউএসডি বন্ডের সুদ বাবদ।

    অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বর্তমানে নগদ টাকার পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা; যা আগে ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসায়িক মূলধনসহ এবারে দেখিয়েছেন ৪৭ লাখ টাকা; যা আগে ছিল এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ টাকা। আগে নিজের ছিল ৩৪ লাখ এবং স্ত্রীর ২৭ লাখ টাকা। নিজ নামে আগে শেয়ার ছিল ১৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার; এখন রয়েছে ১৮ কোটি টাকার। আগে স্ত্রীর নামে ছিল শুধু ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার; এখন রয়েছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে নিজ নামে আট কোটি ৯২ লাখ টাকা; যা আগে কিছু ছিল না। স্ত্রীর নামে আগে না থাকলেও এখন রয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। নিজ নামে তার ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে; ২৪ লাখ টাকার অলঙ্কারাদি এবং অন্যান্য সম্পদ (অগ্রিম, ঋণ প্রদান ও জীবন বীমার প্রিমিয়ামসহ) রয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার।

    এর বাইরে স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষি জমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, শূন্য দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ৯২৪ বর্গফুট ও এক হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট।

    ফজলে নূর তাপস : একাত্তরে জন্ম নেওয়া শেখ ফজলে নূর তাপসের পেশা আইন। এলএলবি অনার্স করে তিনি ব্যারিস্টার-অ্যাট.ল ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা এবং ২০০৩ সালের শ্রম আদালতে মজুরি পরিশোধ-সংক্রান্ত আরও একটি মামলা হাইকোর্ট বিভাগে বাতিল বা খারিজ হয়ে গেছে।

    এমপি পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী তাপসের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামার সঙ্গে এবারের তুলনামূলক বিশ্নেষণে দেখা গেছে, তার কোনো ঋণ নেই। ২০০৮ সালে নবম সংসদে প্রথমবারের মতো এমপি হলেও পরে দশম ও একাদশ সংসদেও তিনি এমপি হন। হলফনামা বিশ্নেষণে দেখা যায়, তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের হলফনামায় কৃষি খাতে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩০ হাজার ৪০২ টাকা। এবার দেখিয়েছেন নিজের ৩৫ হাজার টাকা এবং এই খাতে নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছেন ২২ হাজার ৪০০ টাকা। বাড়ি ভাড়ায় নিজের আয় ৪২ লাখ ৫০ হাজার; নির্ভরশীলদের আয় ১৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এই খাতে আগে তার আয় ছিল ১৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা। আগে ব্যবসায় নিজের আয় না থাকলেও নির্ভরশীলদের আয় ছিল ১৮ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ টাকা। এখন এক কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

    শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতে আগে আয় ছিল শুধু ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা; নির্ভরশীলদের আয় ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এবারে দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৮ টাকা এবং নির্ভরশীলদের আয় ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ১২২ টাকা। আইন পেশা থেকে আগে আয় ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। এখন এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চাকরি খাতে তার আগে আয় ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার; এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজারে।

    অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ২০১৩ সালে তার হাতে নগদ ছিল ছয় কোটি দুই লাখ টাকা; এখন রয়েছে ২৬ কোটি তিন লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ছিল ৫০ হাজার; এখন রয়েছে ৯৭ লাখ টাকা। ডলার ওই সময়ে না থাকলেও এখন নিজের কাছে তিন হাজার ৭৫০ ডলার; স্ত্রীর কাছে রয়েছে ৮ হাজার ৭০০ ডলার।

    ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ আগে নিজ নামে ছিল ৬ কোটি ২ লাখ টাকা; স্ত্রীর নামে ২৪ লাখ টাকা। এখন নিজের এক কোটি ৫৩ লাখ এবং স্ত্রীর নামে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ওই সময়ে নিজ নামে শেয়ার ছিল ৩২ কোটি টাকার এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এখন তার নামে শেয়ার রয়েছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার; স্ত্রীর নামে রয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত আগে নিজ নামে ছিল তিন কোটি টাকা; স্ত্রীর নামে ছিল ৬৩ লাখ টাকা। এখন নিজের রয়েছে ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর রয়েছে তিন কোটি ৮৫ লাখ টাকার।

    এ ছাড়াও বর্তমানে তার এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি নিজ নামে এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে। ৩২ তোলা অলঙ্কার নিজ নামে রয়েছে, যার মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ১৮৮ ভরি অলঙ্কারের মূল্য দেখিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। আগে নিজের ২২ তোলার মূল্য দেখিয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর ৫০ ভরির মূল্য দেখিয়েছিলেন ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে কৃষিজমি ১০ দশমিক ৫০ কাঠা এবং স্ত্রীর নামে ১১২ শতাংশ, যার মূল্য ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অকৃষি জমি আগে ছিল শুধু নিজের নামে ১০ কাঠা এবং এখন নিজ নামে ১০ কাঠা এবং স্ত্রীর নামে ১০ কাঠা। আগে মতিঝিলে একটি বিল্ডিং থাকলেও এখন তার বিল্ডিংয়ের সংখ্যা তিনটি। পূর্বাচল এবং সাভারে অপর দুটি। আগে স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি প্লট থাকলেও এখন একটিও নেই। আগে নিজের একটি এক কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট দেখালেও এখন একটি বাড়ির দাম দেখিয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দুটির দাম দেখিয়েছেন এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

    দায়-দেনার মধ্যে আগে তার অগ্রিম বাড়ি ভাড়া নেওয়া ছিল তিন লাখ ৩৭ হাজার টাকা, এখন এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়।

    ইশরাক হোসেন : এক বছরে একটি টাকাও মায়ের ঋণ শোধ করতে পারেননি ইশরাক হোসেন। এমএসসি (ইঞ্জি.) ডিগ্রিধারী এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্পদ গোপনের অভিযোগে দুদকের একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক চারটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, একটির শেয়ারহোল্ডার এবং ট্রান্স ও শিয়ানিক ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। যদিও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য যে হলফনামা দাখিল করেছিলেন সেখানে ট্রান্স ও শিয়ানিক ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল না। এবার অনেক ক্ষেত্রে আয়ের খাতও বেড়েছে। আগে তার সঞ্চয়পত্রে কোনো বিনিয়োগ না থাকলেও গত এক বছরে তিনি এই খাতে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ করেছেন ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা।

    কৃষি খাতে তার কোনো আয় নেই। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা। আগেরবার দেখিয়েছিলেন এক লাখ আট হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানতের সুদ থেকে তার আয় চার লাখ ২৫ হাজার টাকা। আগে ছিল ৪ লাখ টাকা। চাকরিতে (পারিতোষিক) তিনি আয় দেখিয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা। আগে ছিল ৪০ লাখ টাকা। আগে ব্যবসার ঘরে কোনো আয় না লিখলেও এবার সোয়া ৪ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। এ ছাড়াও শেয়ারের লভ্যাংশ ও বিবিধ খাতে আগেরবার ফাঁকা থাকলেও এবার আয় দেখিয়েছেন ৪৬ লাখ টাকা।

    অস্থাবর সম্পদ খাতে আগেরবার তার নিজ নামে নগদ টাকা ছিল ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা; এবার দেখিয়েছেন ৩৩ হাজার ১০৯ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আগে ছিল এক কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৭ টাকা; এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৩ টাকা। সঞ্চয়পত্রে আগে কোনো বিনিয়োগ না দেখালেও এবার দেখিয়েছেন ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। তবে দুই লাখ ৯৬ হাজার শেয়ারের মূল্য দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা; এক লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং এক লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকার আসবাব আগেরবারের মতোই একই রেখেছেন।

    স্থাবর সম্পদ তার পুরোপুরি অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ কৃষি জমির মূল্য ৩০ লাখ টাকা। ২৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ অকৃষিজমির মূল্য ৩২ লাখ টাকা। জোয়ার সাহারায় নির্মাণাধীন ভবন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়াও দুই লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৮০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তার। আগের হলফনামায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বল্পমেয়াদি ঋণের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি; এবারও তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

    ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ২ জানুয়ারি এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় কী? কোন গেল জানা পরিমাণ প্রার্থীর মেয়র, সম্পত্তি হিসাব
    Related Posts
    Viral

    ভাইরাল হয়ে বিপাকে সেই ‘ফুটপাতের বুফে’র মালিক, ভেঙে পড়লেন কান্নায়

    August 13, 2025
    Upodastha

    নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ঋণখেলাপিরা : অর্থ উপদেষ্টা

    August 13, 2025
    অর্থ উপদেষ্টা

    কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

    August 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Viral

    ভাইরাল হয়ে বিপাকে সেই ‘ফুটপাতের বুফে’র মালিক, ভেঙে পড়লেন কান্নায়

    অপটিক্যাল ইলুউশনের ছবি

    ছবিটি জুম করে দেখুন, বলতে পারবেন কে দাঁড়িয়ে আছে এবং কে বসে?

    সাবেক ফার্স্ট লেডি

    স্বামীর পর গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হল রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

    মেয়ে

    মেয়েদের কোন অঙ্গটি প্রতি দুই মাস অন্তর পরিবর্তন হয়

    Rare incident in cricket

    ক্রিকেটে বিরল ঘটনা, ইনিংসে ১০ ব্যাটারই আউট শূন্য রানে!

    জামায়াতের বিক্ষোভ

    রাজধানীতে বিকালে জামায়াতের বিক্ষোভ

    ওয়েব সিরিজ

    সীমাহীন জনপ্রিয়তা অর্জন করলো এই ওয়েব সিরিজ, দর্শকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস!

    নোরা ফাতেহি

    আমার মতো নিতম্ব ওরা কখনো দেখেনি : নোরা ফাতেহি

    INDIA

    রাতে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার ঘরে ঘুমিয়ে পড়লেন প্রেমিক, তারপর যা ঘটলো

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.