জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ করোনা রোগির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৩৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আরোগ্যলাভ করেন ৩৭ জন।
করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্টসহ ১০ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন পজিটিভ ৩৬ জনের মধ্যে শহরের ২৫ ও চার উপজেলার ১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ৬ জন, আনোয়ারা ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং সীতাকু-ে ১ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৬১৪ ও গ্রামের ২৮ হাজার ১৬ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ২ জন ও গ্রামের ১ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৯৩ জন। এতে শহরের ৭১৪ ও গ্রামের ৫৭৯ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৪৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৩২ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৬ হাজার ১১৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৯৯ এবং ছাড়পত্র নেন ৪৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৯৭ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে একটানা ১১ দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। গতকাল ১৪ উপজেলার দশটিতে নতুন কোনো করোনা রোগি মিলেনি। এদিকে গতকালের ৩ জনসহ চলতি মাসের ২৬ দিনে চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৪৬৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ৩টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ ও গ্রামের ৪ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫৪ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহর ও গ্রামের ২ জন করে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ১টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮০টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ নমুনায় শহরের ১টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৭ নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ১টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ল্যাব এইডে ৪টি নমুনার সবক’টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ৭১, চবি’তে ১১ দশমিক ৬৬, এন্টিজেন টেস্টে ৭ দশমিক ৪০, আরটিআরএলে ১১ দশমিক ১১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৫৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩ দশমিক ১২, মেডিকেল সেন্টারে ৫ দশমিক ৮৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ দশমিক ০৯ এবং ল্যাব এইডে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।