এ বছর গুগল কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছে। এ চমকের নাম ‘দ্য উইলো কোয়ান্টাম চিপ’। বাস্তব দুনিয়ার সমস্যা সমাধানে ‘বিলো থ্রেশহোল্ড’ নামে একটি মাইলফলক অর্জন করেছে এই চিপ। কোয়ান্টাম এরর কারেকশনে এই মাইলফলক অর্জনের লক্ষ্যে প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন প্রযুক্তিবিদেরা। অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ হলো।
এই অর্জনে আসলে কী করেছে গুগল? কোয়ান্টাম কম্পিউটারের একক কিউবিট। কিন্তু কোয়ান্টাম জগতের অদ্ভুতুড়ে নিয়ম-কানুনের কারণে যত বেশি কিউবিট একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো, দেখা যেত, বাড়ছে ভুলের পরিমাণ। গুগল এ ক্ষেত্রে দেখিয়েছে, কিউবিট বাড়ানোর ফলে ভুলের পরিমাণ কমছে সূচকীয় হারে।
শুধু তাই নয়। এ কোয়ান্টাম চিপ ৫ মিনিটের কম সময়ে যে পরিমাণ কম্পিউটেশনের কাজ করতে পারে, দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগামী সুপারকম্পিউটারের সে পরিমাণ কাজ করতে লাগবে ১০ সেপ্টিলিয়ন বছর। এর মানে ১০২৫ বছর—এককথায়, মহাবিশ্বের বয়সের চেয়েও বেশি।
এ গবেষণার হাত ধরে ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাস্তব হয়ে ওঠার পথে অনেকদূর অগ্রগতি হলো। পরবর্তী ধাপ: বাস্তব দুনিয়ায় যে সব অ্যালগরিদম বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে, যেমন ড্রাগ আবিষ্কার, শক্তি সংরক্ষণ বা এআইয়ের অগ্রগতির জন্য অপ্টিমাইজ করা (প্রক্রিয়াটাকে ন্যূনতম পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহার করে দ্রুততম উপায়ে করার পর্যায়ে নিয়ে আসা) ইত্যাদি কাজে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে হবে উইলোকে। এখন সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন গুগলের বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।