ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যারা ঈদের নামাজ আদায় করে না তারা অবশ্যই গুনাহগার হবে। ঈদ আসে বিশ্ব মুসলিমের দ্বারপ্রান্তে বার্ষিক আনন্দের মহা বার্তা নিয়ে, আসে সীমাহীন প্রেম-প্রীতি বিলাবার সুযোগ নিয়ে, বিগত দিনের সকল ব্যথা বেদনা ভুলিয়ে দিতে, কল্যাণ ও শান্তির সওগাত নিয়ে। বছরে দুইদিন ঈদের নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য যে মহাসম্মেলনের ব্যবস্থা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী সমাজ কায়েমের প্রেরণা। সমাজকে কলুষ কালিমা মুক্ত করার জজবা, মানবতা ও মনুষ্যত্ব বিকাশের এক বিশেষ অনুশীলন।
ঈদুল আযহার দিনে অনেক ফজিলত রয়েছে। যারা ঈদের দিন যথারীতি ঈদগাহে গিয়ে যথানিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন এবং তাদের অফুরন্ত পুরস্কার দানে ধন্য করেন। হাদিসে এসেছে, যারা ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য ঈদের ময়দানে একত্র হয়, আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পর্কে ফেরেশতাদের ডেকে জিজ্ঞেস করেন যারা স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালন করে আজ এখানে সমবেত হয়েছে তাদের কী প্রতিদান দেওয়া উচিত?
ফেরেশতারা বলেন, পুণ্যময় কাজের পুরোপুরি পারিশ্রমিক দেওয়াই উচিত। তখন আল্লাহ তায়ালা তার ইজ্জতের শপথ করে বলেন, অবশ্যই তিনি তার প্রার্থনা মঞ্জুর করবেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা ঈদের নামাজ সমাপনকারী তার নেক বান্দাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমাদের কৃত অতীত পাপকে সওয়াবে পরিণত করে দিলাম’ এ পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজ সমাপনকারীরা ঈদের মাঠ থেকে এমন অবস্থায় আপন গৃহে প্রত্যাবর্তন করল যেন তারা নিষ্পাপ শিশু।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পুণ্য লাভের আশায় ঈদের রাত জেগে ইবাদত করে কিয়ামতের দিন তার অন্তর এতটুকু ভীত-সন্ত্রস্ত হবে না যেমন অন্যদের অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হবে। ফেরেশতারা আল্লাহকে বলেন, দয়াময় আল্লাহ, উপযুক্ত প্রতিদান তাদের দান করুন। আল্লাহ বান্দাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক তাদের দান করুন।
ঈদের নামাজের শেষে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, হে আমার প্রিয় বান্দারা, আমি আজকের এ দিনে তোমাদের সকল পাপগুলোকে পুণ্যের দ্বারা পরিবর্তন করে দিলাম। অতএব তোমরা নিষ্পাপ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।