জুমবাংলা ডেস্ক : সমাজের সবাইকে নিয়ে একত্রে মাংস ভাগাভাগি শেষে বেচে যাওয়া মাংস গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন রিপন নামে এক যুবক। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গ্রামবাসীর নামে কোরবানির মাংস চুরির অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীকে ধাওয়া দিয়েছেন প্রভাবশালী তিন ভাই ও তাদের সন্তানেরা। এসময় তাদের চাপাতির কোপে আহত হন রিপন (৪০)।
শনিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের গান্ধুলিয়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগী রিপন একই গ্রামের নুরজাহানের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের ইসলামপুর বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
অভিযুক্ত তিন ভাই ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়া ওরফে বাচার ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৫), আব্দুল মালেক (৪৮) ও ইউনুস (৪০)। এছাড়াও এতে অংশ নেন আব্দুল মালেকের ছেলে রাজীব এ শাহাদাত।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, মাংস ভাগাভাগি নিয়ে গত বছর অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগ করেই সবাইকে মারধর করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এক পর্যায়ে রাজিব চাপাতি দিয়ে রিপনকে কোপাতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, বিকেলের দিকে মসজিদে বসে এলাকাবাসী কোরবানির মাংস সমাজের সবার মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছিলেন। ভাগাভাগি শেষ ১০ কেজি মাংস থেয়ে যায়। সেটা এলাকার গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেন কয়েকজন যুবক। সেসময় অভিযুক্তরা মাংসে কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেন।
এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে মসজিদের পাশেই নিজেদের বাড়ি থেকে ধারালো চাপাতি ও লাঠি নিয়ে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেন অভিযুক্তরা। তাদেরকে বাধা দিতে গিয়ে চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন রিপন। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাংস ভাগাভাগি নিয়ে তর্কের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে বলে শুনেছি। আহতদের চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের আটকে চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।