কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি হচ্ছে পথে, ১৯ কেজি ৮৫০০ টাকায়

জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদের দিন রবিবার (১০ জুলাই) বি দেখা গেলো পাবনার ঈশ্বরদী শহরের বাজার ও রাস্তাঘাট ফাঁকা। লোকজনের চলাচল কম। বিকালে ৫টার পর হঠাৎ শহরের প্রধান সড়কের (স্টেশন রোড) ফকিরের বটতলায় মানুষের ভিড় দেখা যায়।

কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি হচ্ছে পথে, ১৯ কেজি ৮৫০০ টাকায়

জানা গেলো এখানে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ একদিনের কসাই হয়ে কাজ করে যে মাংস পেয়েছেন তা বিক্রি করতে এনেছেন। আর যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই অথবা বাজার থেকে বেশি দামে মাংস কিনে খেতে পারেন না তারাই এ মাংসের ক্রেতা।

ফকিরের বটতলায় গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার ঈদগাহ রোডের ময়লার ভ্যানচালক শ্রীকান্ত প্রায় ১৯ কেজি মাংস নিয়ে এসেছেন। দরদাম করে এ মাংস ৮৫০০ টাকায় তিনি বিক্রি করেন। পাঁচজন একত্রিত হয়ে এ মাংস কেনেন। পরে ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করে নেন।

শ্রীকান্ত জানান, যেসব বাসাবাড়ির ময়লা তিনি ফেলেন সেসব বাড়িওয়ালারা তাকে মাংস দিয়েছেন। এ মাংস তিনি বিক্রি করতে এনেছেন। তার কাছে আরও ৫ কেজি মাংস রয়েছে। এগুলোও বিক্রি করবেন।

ভিক্ষুক আদুরি বেগম বলেন, ‘সারাদিনে ৬ কেজির মতো মাংস সংগ্রহ করেছি। এতো মাংস আমি রাখবো কোথায়? খাওয়ার জন্য দুই কেজি রেখে বাকি চার কেজি বিক্রি করতে এসেছি। ৪৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত দরদাম হচ্ছে।’

মাংস কিনতে এসেছিলেন রিকশাচালক আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দোকান থেকে মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়। এখানে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে কেনা যায়। তাই দু তিন কেজি কেনার জন্য এসেছি।’

পৌর এলাকার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার মৌসুমি কসাই আহাদ আলী জানান, তিনি পাঁচ কেজি মাংস পেয়েছেন। বাসায় ফ্রিজ নেই। দুজনের সংসারে দুই কেজি মাংসই যথেষ্ট। বাকি তিন কেজি বিক্রি করতে এসেছেন। মাংস বিক্রির টাকা সংসারের অন্য কাজে লাগাবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহান রহমান জানান, তিন বছর ধরে এখানে ঈদের দিন বিকালে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করা হয়। এখানে মাংসের ক্রেতা-বিক্রেতা দুপক্ষই দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। মাংস বেচাকেনা করে দুপক্ষই উপকৃত হয়।

তিন ধরনের মেয়েরা নিজের স্বামীতে কখনো সন্তুষ্ট হয়না