স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য। আজ কেপটাউন টেস্টের চতুর্থ দিনেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। এই টেস্টেই স্টাম্প মাইকে গালাগাল করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এরপর তাঁর দলও হেরেছে। সব মিলিয়ে একটা প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, এই সিরিজ হার কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্বের জন্য অশনিসংকেত?
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাজের অতিরিক্ত চাপের অজুহাতে নিজেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়েন কোহলি। এরপর বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়লাভ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরুর ঠিক আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিতর্ক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন। কারণ তাঁকে ওয়ানডে নেতৃত্বে থেকে জোর করে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। রঙিন পোশাকে দুই অধিনায়ক তারা চায় না।
রোহিত শর্মার কাছে ওয়ানডে নেতৃত্ব হারিয়ে কোহলি বেজায় চটেছিলেন। সরাসরি বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। এতে তিনি বোর্ডের চক্ষুশূল হন। পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তিন অঙ্কের ইনিংস খেলতে পারেননি। এই সিরিজে সহ-অধিনায়কের পদ থেকে আজিঙ্কা রাহানেকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে এনে কোহলির ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিসিসিআই। যদিও চোটের কারণে রোহিত টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি। সব মিলিয়ে বিরাট কোহলি আছেন মহাবিপদে।
কোহলিকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরানোর সময় পরোক্ষভাবে বলা হয়েছিল, সাদা বলে তাঁর কোনো ট্রফি নেই। বিশ্বের ভয়ংকরতম এই ব্যাটার অধিনায়ক হিসেবে টেস্টেও এখন খারাপ সময় কাটাচ্ছন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পরাজয়ের পর একমাত্র নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ভারত। প্রথম টেস্টে কোহলি ছিলেন না। সেই ম্যাচ ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে দল জিতলেও কোহলি ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারে তাঁর নামের পাশে লাল দাগ পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।