জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা ধর্ষণের শিকার সেই নারী মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা অন্যান্য এবং নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নারী তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় কেউ তাতে রাজি হননি।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় টের পেয়ে ওই সেন্টারে থাকা অন্যান্য নারী ও নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেন্টারটি পরিদর্শনে যান। এছাড়া ওই নারীকে তদারকির জন্য নারী পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (১৯ মে) ওই নারীর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হচ্ছে। বুধবার তার করোনা টেস্ট করে ফলাফল নেগেটিভ হলে তাকে মুক্ত করা হবে।
এদিকে মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুলনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তবে মামলার এজাহারে দুর্বলতা থাকায় আসামি এএসআই মোকলেসুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।
গত ১৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের এএসআই মোকলেসুর রহমান ধর্ষণ করেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত এক নারীকে। এমন অভিযোগে ওই নারী গত ১৮ মে খুলনা থানায় মামলা দায়েরের পর মোকলেসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।