প্রতিদিনের জীবনে সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ক্যারিয়ারের বড় সিদ্ধান্ত—সবকিছুতেই আমাদের প্রতিনিয়ত পছন্দের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনো জাদুকরী ক্ষমতা নয়, বরং এটি একটি নিয়মিত চর্চার বিষয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রথম ধাপ হলো নিজের লক্ষ্য পরিষ্কার করা। আমি আসলে কী চাই এবং আমার মূল উদ্দেশ্য কী, তা জানলে যেকোনো বিকল্প বেছে নেওয়া সহজ হয়।
লক্ষ্য স্থির থাকলে অবাস্তব বিকল্পগুলো সহজেই বাদ দেওয়া যায়, যা সময় ও মানসিক চাপ উভয়ই কমিয়ে দেয়।
ক্ষেত্রে অহংবোধ বিসর্জন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় নিজের ভুল স্বীকার না করার প্রবণতা বা অতি-আত্মবিশ্বাস আমাদের সঠিক পথ দেখতে বাধা দেয়। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিজের বিকল্পগুলো নিয়ে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। অন্যের সঙ্গে কথা বললে নিজের চিন্তার জটগুলো পরিষ্কার হয় এবং অনেক সময় কথা বলার মাঝেই সমাধানের পথ বেরিয়ে আসে।
এছাড়া একঘেয়ে রুটিন অনেক সময় চিন্তাশক্তিকে স্থবির করে দেয়। তাই মাঝে মাঝে নতুন পরিবেশে যাওয়া বা নতুন কিছু শেখা প্রয়োজন। এটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে এবং জটিল পরিস্থিতিতেও নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।
সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত পরিণতির কথা কল্পনা করাও একটি কার্যকর কৌশল।
কোনো একটি কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদে আয়, সময় বা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে, তা আগেভাগে চিন্তা করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তবে খুব বেশি চাপে থাকলে বা মন অস্থির থাকলে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে কিছুটা বিরতি নেওয়া উচিত।
প্রয়োজনে কিছুক্ষণ হেঁটে আসা বা ভালো ঘুম মস্তিষ্ককে তথ্যগুলো গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে। প্রায়ই দেখা যায়, পর্যাপ্ত বিশ্রামের পর ঘুম থেকে উঠে জটিল সমস্যার সমাধান পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভুল করার ভয় কাটিয়ে ওঠা। অনেক সময় মানুষ ভুল সিদ্ধান্তের ভয়ে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারে না, যা প্রকারান্তরে স্থবিরতা তৈরি করে।
মনে রাখতে হবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা নিয়ে বারবার আফসোস করা বা ‘যদি ওটা করতাম’ এমন চিন্তা করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীতে সব সময় নিখুঁত বিকল্প পাওয়া সম্ভব নয়, তাই অপেক্ষাকৃত ভালো বিকল্পটি বেছে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
নিয়মিত ছোট ছোট বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস করলে তা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



