জুমবাংলা ডেস্ক : দুই ব্যবসায়ী যৌথভাবে ফেব্রিক্স ব্যবসা করেন পুরান ঢাকার হক মার্কেটে। গত মঙ্গলবার ব্যাংক থেকে ২৫ লাখ টাকা তোলেন ব্যবসায়ী মো. জুয়েল ইসলাম মিঠু। সেখান থেকে তিনি এক লাখ টাকা পাওয়াদারকে দেন। বাকি থাকে ২৪ লাখ টাকা। এই টাকাটা দোকানের টেবিলের নিচে রাখেন এই ব্যবসায়ী।
এরপর জোহরের নামাজ পড়বেন বলে মিঠু তার ব্যবসায়িক পার্টনার মো. জাহিদুল ইসলাম রিপন ও দোকানের কর্মী ইমরানের জিম্মায় এই টাকাগুলো রেখে তিনি বাইরে যান।
কিছুক্ষণ পরে দোকানকর্মী ইমরান মিঠুকে ফোন করে জানান রিপন তাকে চা আনার জন্য পাঠালে তিনি বাইরে যান এবং চা নিয়ে দোকানে এসে দেখেন দোকানে রিপন নাই এবং দোকানে রাখা টাকাগুলোও নাই।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিম মো. জুয়েল ইসলাম মিঠু (৩২) টাকা চুরির খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর তিনি কোতয়ালী থানায় একটা মামলা করেন।
কোতোয়ালি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল আলম মুজাহিদ আসামি গ্রেপ্তার ও চোরাইকৃত টাকা উদ্ধারে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
তিনি জানান, শুরুতে পুলিশের নানা কৌশল কাজে আসছিল না। আসামি বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। দুই দিন টানা পরিশ্রম ও নানা কৌশল অবলম্বন করে আসামিদের অবস্থান অনুসরণ করে পুলিশ পৌঁছে যায় খুলনায়। সেখানে গিয়েও পুলিশের এই দলকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। আসামি টাকা নেওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করতে থাকেন।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবান টাকা চুরির ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হন পুলিশ। আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন চোরাইকৃত টাকাও।
আটককৃতরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম রিপন (৩৪), মো. অহিদুর রহমান মিলন (২৬) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশ জানায়, রিপন ও মিলন সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
কোতোয়ালি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল আলম মুজাহিদ বলেন এই অপারেশন সফল করতে ডিএমপির ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশনের (আইএডি) দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। একই সাথে খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।