জুমবাংলা ডেস্ক: চলমান উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে। খবর ইউএনবি’র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অরক্ষিত প্রবেশদ্বার দিয়ে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত ও সম্প্রতি ছাত্র শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে আটকের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোরালো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রশাসন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখতে প্রক্টরিয়াল টিম সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবও দিয়েছে।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে পেছনের অংশ দিয়ে প্রবেশের জন্য তিনটি অরক্ষিত পথে দ্রুত গেট নির্মাণ করা, অন্ধকার স্থানে আলোর ব্যবস্থা করা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন চারটি প্রবেশপথে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশ-বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো, হলগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং দ্রুত সময়ে হল রেইডের ব্যবস্থা করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘উপাচার্য স্যারও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন, যাতে দ্রুত সময়ে এসব কাজ শেষ করা যায়,’ যোগ করেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ দিয়ে প্রবেশের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। উত্তরাংশে সাভার সেনানিবাস সংলগ্ন প্রবেশদ্বার রয়েছে একটি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে পেছনের অংশে প্রবেশের জন্য তিনটি পথ রয়েছে।
এছাড়া, তিন থেকে চারটি চোরাই পথ রয়েছে। এসবের মধ্যে পেছনের তিনটি গেট ও চোরাই গেটগুলো পুরোপুরো অরক্ষিত। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত সীমানা থাকলেও এর ভেতরেই একের পর এক চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার পর অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব সড়ক অন্ধকার ছিল ওইসব সড়কে ইতিমধ্যে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুতপূর্ণ স্থানগুলোতে ফ্লাড লাইট লাগানোর কাজ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
যার মধ্যে- গেরুয়া ঢালে তিনটি, ইসলামনগর সীমানায় দুটি, সালাম বরকত হলের সামনে দুটি, আল-বেরুনী হলের পেছনের মাঠে চারটি, আমবাগান গেটে দুটি, পুরাতন কলা ভবনের সামনে-পেছনে চারটি, মওলানা ভাসানী হলের সামনে দুটি, পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি, পরিবহন চত্বরে চারটি, শিক্ষক ক্লাবের সামনে দুটি, নতুন চারুকলা অনুষদের সামনে দুটি, সালাম বরকত হলের পেছনে শিক্ষকদের বাসার সামনে পাঁচটি, টারজান পয়েন্টে দুটি, টিএসসি সামনে-পেছনে চারটি, চৌরঙ্গীতে দুটি, মেডিকেল সেন্টারের সামনে-পেছনে চারটি এবং ব্যায়ামাগারের সামনের মোড় ও সুইমিং পুল এলাকায় ছয়টি ফ্লাড লাইট লাগাতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দ্রুত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটক, প্রধান প্রধান সড়ক ও আবাসিক হলে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ বলেন, রাতের বেলায় যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে।
তবে যদি কোনো কারণে বিদ্যুৎ না থাকে সেক্ষেত্রে প্রশাসনকে আগে অবহিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।