বৃষ্টির ও আলোক স্বল্পতার কারণে ৬ ওভার বাকি থাকতেই অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন মাঠের দুই আম্পায়ার। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর তাতেই হাতে ৫ উইকেটের প্রাপ্তি নিয়ে দিন শেষ করলো টাইগাররা। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকরা তাদের স্কোর চারশ ছাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে।
৮৪তম ওভার শেষে প্রথম দিনের ইতি টানেন দুই আম্পায়ার। জাস্টিন গ্রিভস ১১ এবং জশুয়া ডি সিলভা ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
দিনের খেলা শেষে সেঞ্চুরি মিস করা লুইস বলেন, ‘কয়েক ধাপের একটা ইনিংস ছিল। আমি আর ক্রেইগ ওপেন করেছিলাম। বেশ খানিকটা ময়েশ্চার থাকায় উইকেট একটু ধীরগতির ছিল। বল একটু ধীরে ব্যাটে আসছিল।’
‘আমরা অবশ্য সেই সময়টা ভালোভাবে পেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমার এবং কাভেমের জুটিটা বেশ ভালোই যাচ্ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে সেটা ক্যারি করতে পারেনি। পরবর্তীতে আমার এবং অ্যালিকের জুটি আমাদের এগিয়ে নিয়েছে। সে আমাকে গাইড করেছে। আপনি জানেন সে আমার থেকে অভিজ্ঞ এবং বারবার আমাকে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল সে আমাকে সঠিক পথে এগিয়ে দিচ্ছিল।’
‘শর্ট বলে আমি রান করার চেষ্টা করছিলাম। যেকোন সময়ই হোক শর্ট বল পেলেই মনে হয় পুল করে রান বের করি, এটা আমার পছন্দের জায়গা। এভাবেই আসলে আমি আমার ইনিংসের পরিকল্পনা করেছিলাম।’
লুইসের আশা তারা দুজনে মিলে ভালো জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চারশ রানের ঘরে নিয়ে যাবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের এখনও জাস্টিন এবং জশুয়ার মতো দুজন ব্যাটার আছে। আমার ধারণা তারা দুজনে ভালো জুটি গড়বে এবং আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে। এই উইকেটে আমি চারশর বেশি রান প্রত্যাশা করছি।’
সেঞ্চুরি না পাওয়ায় মন ভরেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারের। দ্বিতীয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার আশা ব্যক্ত করে লুইস বলেন, ‘এখনও একটা ইনিংস বাকি আছে। আশা করছি দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে পারব। ম্যাচ শেষের পর আমাকে এই প্রশ্নটা করো।’
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবীয়রা দলীয় ২৫ রানের মাথায় হারায় প্রথম ২ উইকেট। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ব্যক্তিগত ৪ রানে তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। মিডল-লেগ স্টাম্পে করা তাসকিনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিলেন কেচি কার্টি। রানের খাতা না খুলেই তাইজুল ইসলামের হাতে ধরা পড়ে বাইশ গজ ছাড়েন।
মিকাইল লুইসের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রান যোগ করে রান আউট হন কাভেম হজ। তার ব্যাটে আসে ২৫ রান। চতুর্থ উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়েন লুইস ও অ্যালিক অ্যাথানেজ। দুই ব্যাটারই নার্ভাস নাইন্টিজে কাটা পড়েন।
ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দীপু। ২১৮ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৯৭ রান করেন এই ওপেনার। অ্যাথানেজকে নিজের শিকার বানান তাইজুল। উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ১৩০ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ৯০ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।