জুমবাংলা ডেস্ক: ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িতদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তারা যেন বিদেশ যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বুধবার বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন পুলিশ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা হলেন:
১. এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ২. খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ৩. এনামুল হক এনু ৪. রূপন ভূঁইয়া ৫. লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ৬. নাবিলা লোকমান ৭. ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ৮. জাকির হোসেন ৯. মোহাম্মদ শফিকুল আলম ১০. মো. রফিকুল ইসলাম ১১. মো. আব্দুল হাই ১২. মো. সেলিম প্রধান ১৩. মো. এনামুল হক আরমান ১৪. আবুল কালাম আজাদ ১৫. হাবিবুর রহমান (মিজান) ১৬. কাজী আনিসুর রহমান ১৭. মিসেস সুমি রহমান ১৮. এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ১৯. নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ২০. সামশুল হক চৌধুরী ২১. মো. শফিকুল ইসলাম ২২. মো. জাকির হোসেন এবং ২৩. প্রশান্ত কুমার হালদার।
উপরোক্ত ব্যক্তিরা যেন দেশত্যাগ করে পালিয়ে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সীমান্তগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ইমিগ্রেশন বিভাগকেও সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি, ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নাম-ঠিকানা যাচাই ও পাসপোর্টের সঙ্গে তাদের ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য যাত্রীদের আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপাশি তুলে রাখা হচ্ছে ছবি।
এর আগে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর এমপি শাওনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপর, বাংলাদেশ ব্যাংক এমপি শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে। অপরদিকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামে চালানো অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি সামশুল হক। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবে জুয়ার আসর বসিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, এই দুই এমপির বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকে। কমিশন ঐসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের সম্পদের খোঁজ নিতে কাজ শুরু করেছে।
ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান) সৈয়দ মাহবুব খানকে তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।