স্পোর্টস ডেস্ক: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের দলকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হেসে-খেলে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হাতে ছিল তখনও ৩২ বল। অর্থ্যাৎ, ৫.২ ওভার। আভিসকা ফার্নান্দো আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ব্যাটেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিকরা।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ দল অতিক্রম করছে অন্যতম বাজে সময়। ২০১৭ সালের পর টানা চার ওয়ানডেতে হেরেছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে দাঁড়াতেই পারেনি তামিমরা। বাংলাদেশ দলের এই বাজে সময়ে নির্ভার ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সিরিজ হেরে টাইগার কোচ সুজনকে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার এক ক্যাসিনোতে জুয়ায় মত্ত।
বিশ্বকাপ শেষে স্টিভ রোডসের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বিসিবি। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরের আগে অন্তর্বতী কোচ করা হয় বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
সুজন অবশ্য বলেছিলেন, দীর্ঘমেয়াদী কোচ না বানালে দায়িত্ব নিবেন না তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে নাকানি-চুবানি খেয়ে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ৩১ তারিখ শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনাও প্রবল।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে সুজন ব্যস্ত কলম্বোর বেলিস ক্যাসিনোতে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সুজন নিজের এটিএম কার্ড দিচ্ছেন ক্যাসিনোর এক নারী ওয়েটারকে। সেখানে সুজনের সাথে দেখা গেছে আরো বেশকিছু মানুষকে।
এদিকে এ ঘটনার পর দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্যাসিনোতে যাওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেননি খালেদ মাহমুদ, তবে জুয়া খেলার জন্য যে যাননি তা বলেন জোর গলায়।
সাংবাদিক তাকে প্রথমেই প্রশ্ন করেন, ‘আপনার ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই।’
প্রশ্নটি শেষও করতে দেন না খালেদ মাহমুদ। পাল্টা প্রশ্নে জানতে চান, ‘ওই ক্যাসিনোর ভিডিও নিয়ে তো?’
তার ভাষায়, ‘আমার এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ক্ষুধা পেয়েছিল বলে সেখানে যাই খাওয়ার জন্য। ক্যাসিনোতে শুধু কার্ড খেলা হয় না, খাবারও পাওয়া যায়। সে কারণেই ওখানে যাই।’
কিন্তু ওখানকার ভিডিও কেউ মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ায় এ নিয়ে শুরু হয় প্রবল আলোচনা। তবে তাতে বিচলিত নন খালেদ মাহমুদ, ‘আমি জানি, আমি কেন সেখানে গিয়েছিলাম। কার্ড খেলার তো প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ চলছে; কোচ হিসেবে আমার সমস্ত মনোযোগ সেখানে। ক্যাসিনোতে এক বাঙালি ছিলেন। তিনি আমার কাছে কার্ড চাইলে তাকে কার্ডও দিই। ব্যস, এইটুকুই। এখন এ নিয়ে যদি ফেসবুকের মতো জায়গায় আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাতে আমার কী করার আছে?’
এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপেও তিনি ক্যাসিনো বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে ওই বিশ্বকাপে গিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাসিনোতে ক্যামেরাবন্দি হন। সেবারও তিনি জুয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, রাতের খাবার খুঁজতে ক্যাসিনোতে গিয়েছিলেন। এবার জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ সুজনের মুখে একই বক্তব্য শোনা গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।