Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ক্রিকেট বাদে অন্য খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নেই, নেই বর্তমানও
    ক্রিকেট (Cricket) খেলাধুলা

    ক্রিকেট বাদে অন্য খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নেই, নেই বর্তমানও

    Shamim RezaOctober 31, 20198 Mins Read
    Advertisement

    41230874_303স্পোর্টস ডেস্ক : কিছুদিন আগে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বড় শিরোনাম হয়েছিল ক্রিকেটের ১১ দফা দাবি৷ সেটা মূলত ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা ও নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আর্জি৷ এটা পাথেয় হতে পারতো অন্যান্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের৷ খবর ডয়চে ভেলের।

    কিন্তু হয়েছে উল্টো আক্ষেপের কারণ৷ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মৌমিতা আলম রুমির কণ্ঠে সেই আক্ষেপ, ‘‘ক্রিকেটারদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি, আবার হিংসাও হয়৷ খেলাটা তাদের জীবন-মান বদলে দিচ্ছে আর আমরা কানা-কড়িও পাই না টেবিল টেনিস খেলে৷ উল্টো এখন খেলার অধিকারটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ সত্যি বললে, ক্রিকেটারদের মতো স্বপ্ন দেখার সুযোগ আমাদের নেই৷” শুধু টিটি নয়, দেশের অন্যান্য ছোট খেলাগুলোতে কান পাতলেও শোনা যাবে একই আক্ষেপের সুর৷ অভাব-অভিযোগ আর প্রাপ্য না-পাওয়ার হতাশা বুকে চেপে এসব খেলোয়াড়রা আঁকড়ে আছেন ভালবাসার খেলাটিকে৷

    দেশের ক্রীড়াঙ্গন মেতেছে এখন এসএ গেমসের হাওয়ায়৷ ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় এই আঞ্চলিক ক্রীড়া আসর উপলক্ষে ছোট খেলাগুলোর সংশ্লিষ্টরা বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যে হয়েছে অপতৎপতাও, তিন সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়েছেন ফেডারেশনের সঙ্গে৷ তারা হলেন পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস চৌধুরী, চারবারের চ্যাম্পিয়ন মৌমিতা আলম রুমি ও পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সালেহা পারভীন৷ প্রথমজন ডাক্তার ও পরের দুজন স্কুল শিক্ষিকা৷ নিজেদের এই পেশা ছেড়ে তারা পুরোপুরি অর্থাৎ দুই বেলা ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে পারছেন না বলে তাদেরকে বাদ দিয়েছে টেবিল টেনিস ফেডারেশন৷ দেশের অন্যতম সেরা টিটি খেলোয়াড় মানস চৌধুরী এই বাদ পড়াকে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না, ‘‘গত ২৫ আগস্ট ট্রেনিং শুরুর দিন আমি হাজির হয়েছিলাম ক্যাম্পে৷ পরদিন ক্যাম্পে থাকার অসুবিধার কথাগুলো ফেডারেশনে জানিয়েছিলাম লিখিতভাবে৷ প্রতি মাসে আমার পরিবার চালাতে দেড়-দুই লাখ টাকা খরচ হয়, সেটা আমাকে আয় করতে হয়৷ ক্যাম্পে থাকলে আমি সেটা উপার্জন করতে পারবো না৷ তাই নিজের কর্মস্থল চট্টগ্রামে গিয়ে কাজের পাশাপাশি আমি নিজের মতো ট্রেনিং করে তৈরি হওয়ার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু ফেডারেশন সেটা মানেনি৷ বিকল্প হিসাবে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, দল নির্বাচনের খেলায় অন্তত অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক, সেখানে জিতলেই আমাকে এসএ গেমসের দলে রাখবে নইলে বাদ দিয়ে দেবে৷ এটাও ফেডারেশনের পছন্দ হয়নি৷ তারা বলেছে, বাংলাদেশ আলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্দেশনা অনুযায়ী দুই বেলা ট্রেনিংয়ে থাকতে হবে সব খেলোয়াড়কে৷’

    ২৫ বছর টিটি ক্যারিয়ারে মানস জাতীয় টিটিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন এবং চারবার রানার্স-আপ হয়েছেন৷ সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স-আপ হলেও এরপর গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন৷ মাস-দুয়েক আগে ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান টিটি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা আসা এই তারকা এটাকে খেলোয়াড়ের অধিকার হরণের চক্রান্ত হিসাবেই দেখছেন, ‘‘টিটি এদেশে পেশাদার খেলা নয়৷ ফেডারেশনও আমাদের জীবন-জীবিকার রাস্তা করে দিতে পারেনি৷ এই খেলার জন্য ফেডারেশন একটি টাকাও আমাদের দেয় না৷ তাই নিজেদের চাকরি বাদ দিয়ে আমরা দুই বেলা ট্রেনিং করবো, সেটাও তারা বলতে পারে না৷ দল নির্বাচনের খেলায়ও যখন অংশ নিতে না দেওয়াটা আমার কাছে মনে হয়েছে অধিকার হরণ৷ এটা সেরা খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র৷ তাই আমি খেলার অধিকার রক্ষায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷”

       

    আদালতে তিনি একা যাননি, রুমি ও সালেহা সেপ্টেম্বর মাসের শেষেরদিকে ফেডারেশনকে পাঠিয়েছেন ‘লিগ্যাল নোটিশ’৷ তার জবাব এখনো দেয়নি ফেডারেশন৷ তিন বছর আাগে গৌহাটি-শিলংয়ে অনুষ্ঠিত গত এসএ গেমস টিটিতে একমাত্র পদক দলগত ব্রোঞ্জ জয়ে রুমির ছিল বড় ভূমিকা৷ গত টেবিল টেনিস জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও এককে চ্যাম্পিয়ন তিনি৷ তাই এভাবে তাকে বাতিলের দলে ফেলে দেওয়ায় রুমিও ক্ষুব্ধ, ‘‘ফেডারেশন তো কোনো বেতন দেয় না আমাদের৷ আমি একটা স্কুলে চাকরি করি, তাই আমি ক্যাম্পে এসে একবেলা প্র্যাকটিস করতাম৷ তাদের কথামতো আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে দুই বেলা প্র্যাকটিস করতে পারবো না৷ তারা মাসে মাসে ওই বেতনের টাকা দেওয়ার গ্যারান্টি দিলে অবশ্যই চাকরি ছেড়ে দেবো৷ এসব আসলে বাহানা৷ আমরা খেলোয়াড়রা সহ সভাপতি হাসান মুনীরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম, তারই প্রতিশোধ নিচ্ছে আমাদের বাদ দিয়ে৷ এখন আদালত কী করে দেখি৷”

    টেবিল টেনিসের খেলোয়াড়রা গত জুনে ফেডারেশনের সহ সভাপতি হাসান মুনীরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন৷ ‘খেলোয়াড়দের হুমকি’ দেওয়া এবং ‘খেলোয়াড়দের পারস্পরিক সম্পর্কে ফাটল ধরানোর’ জন্য এই কর্মকর্তাকে দায়ি করেন তারা৷ সোচ্চার হয়েছিলেন তার অপসারণের দাবিতে৷ এই প্রতিবাদ তাদের কাল হয়েছে বলে মনে করলেও টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম দিচ্ছেন বিওএ’র দোহাই, ‘‘বাংলাদেশ অলিম্পিক নির্দেশনাই ছিল, যারা দুই বেলা ট্রেনিং করতে পারবে তাদের মধ্য থেকেই দল গঠন করতে হবে৷ তাই ট্রেনিংয়ের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা ভাবতে পারিনি৷ তাছাড়া রুমির পারফরম্যান্স ভাল নয় এবং সালেহা অসুস্থ৷” বিওএ’র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূরও অবশ্য সেই নিয়মের কথা বলছেন, ‘‘অলিম্পিক নিয়ম করেছে, যারা ট্রেনিং ক্যাম্প করবে তাদের মধ্য থেকেই চূড়ান্ত দল গঠন হবে৷”

    অলিম্পিক নিয়ম করলেও ক্রীড়াঙ্গনের বাস্তবতা তুলে ধরে বোঝানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের৷ বাস্তবতা হলো, ক্রিকেট-ফুটবল বাদে কোনো ফেডারেশন তার সেরা খেলোয়াড়দেরও জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি৷ জীবন ও জীবিকার জন্য খেলার বাইরে তাদের চাকরি করতে হয়৷ এ কারণে ট্রেনিং ক্যাম্পে নিয়মিত থাকতে না পারলে তাদের একটা বিকল্প সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে৷ চূড়ান্ত দল বাছাইয়ে তারা খেলবেন এবং এই কম্পিটিশনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করলে সমস্যা কোথায় ! এই বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টাও করেননি টিটি সম্পাদক, অথচ স্বীকার করছেন, ‘‘খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই৷ টেবিল টেনিস খেলে খেলোয়াড়রা খুব সামান্যই পায়৷” তিন খেলোয়াড় অধিকার বঞ্চিত হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাতে যদি টিটি দলের এসএ গেমসে যাওয়া আটকে যায় ! জাহাঙ্গীর আলমের জবাব, ‘‘তাদের (খেলোয়াড়দের) নোটিশের ব্যাপারটা দেখছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা৷ আরেকটা কথা বলি, আদালতের আইন আর ক্রীড়া ফেডারেশনের আইন এক নয়৷”

    টেবিল টেনিসে কয়েকজন অধিকার আদায়ে সোচ্চার হলেও ব্যাডমিন্টনে বর্তমান ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন সালমান খান ভাবছেন খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা, ‘‘এই খেলার কোনো ভবিষ্যৎ নেই৷ না আছে কোনো ভিশন, না আছে সুযোগ-সুবিধা৷ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলারও সুযোগ করে দেয় না ফেডারেশন৷ মানে সামনে এগোনোর কোনো সুযোগ নেই৷ এখন ভাবি, লেখাপড়া ঠিকঠাক করলে এতদিনে মাস্টার্স পরীক্ষাটাও দিয়ে ফেলতে পারতাম৷ এটা আমার প্রথম এসএ গেমস, তা শেষ করেই আস্তে আস্তে ব্যাডমিন্টন থেকে মনযোগ সরিয়ে নেবো৷ নইলে ভবিষ্যৎ একদম অন্ধকার৷” অ্যাথলেটদের স্বপ্নজুড়ে থাকে এসএ গেমসে পদক জেতা৷ সালমানের এই গেমস-অভিজ্ঞতা হবে প্রথম৷ তার আগেই দু’বারের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নের মনে হতাশার কালো মেঘ ! কারণ, ‘‘এই খেলা দিয়ে ভাত-কাপড়ের সংস্থান করতে পারবো না৷ ক্রিকেটাররা ৪ লাখ টাকা বেতন পেয়েও নাখোশ আর আমাদেরকে চারশ টাকাও দেয় না ফেডারেশন৷ দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের কথা শোনারও কেউ নেই, বলার কেউ নেই৷”

    এই সময়ের সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হতাশ ! অথচ খেলাটি একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল এ দেশে৷ তারকাদের খেলা দেখতে মানুষ জড়ো হতো৷ ১৭/১৮ বছর আগেও সেরা আট খেলোয়াড়কে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো মাসে৷ জমজমাটও লিগ হতো, এ সুবাদে কিছু আয় হতো খেলোয়াড়দের৷ সর্বশেষ লিগ হয়েছে ২০১৪ সালে, গত পাঁচ বছরে লিগ হয়নি৷ তবে তার আগে থেকেই ব্যাডমিন্টনে ধরেছিল ক্ষয়রোগ৷ নানা কেলেঙ্কারি ও সাংগঠনিক দূর্বলতায় খেলাটির এমন অধঃপতন হয়েছে কেউ আর ব্যাডমিন্টন নিয়ে স্বপ্ন দেখে না৷ সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ অহিদুজ্জামান রাজুর বিশ্লেষণে খেলাটির সামগ্রিক অবস্থা খুব খারাপ, ‘‘এখন আমরা ভুটানের কাছেও হারি, এই খেলা নিয়ে গর্বের কোনো জায়গা নেই৷ এজন্য খেলোয়াড়দের দায়ী করা যাবে না, তাদের কাছে খেলার আকর্ষণই ধরে রাখতে পারেনি ফেডারেশন৷ তবে সাধারণ মানুষের কাছে এই খেলা খুব জনপ্রিয়, শীতকালে সবাই ব্যাডমিন্টন খেলে৷ তাই খেলাটিকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে বাড়তি কিছু করতে হয় না৷ ফেডারেশনের কাজ খেলাটিকে এগিয়ে নেওয়া, খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক কম্পিটিশনের জন্য তৈরি করা৷ সেটাই করতে পারেনি তারা, পরিকল্পনাহীন পথচলায় সব জৌলুস হারিয়েছে ব্যাডমিন্টন৷” তবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার এ নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাননি- শুধু বললেন, ‘‘অর্থ সংকটের কারণে খেলাটি চালাতে কষ্ট হয় আমাদের৷”

    ক্রিকেট বাদে অর্থ সংকট আছে সব খেলায়৷ দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া ফেডারেশন হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ একসময় তার চেয়ে নামি-দামী ফেডারেশনের নাম ছিল ব্যাডমিন্টন৷ সুখ্যাতির পেছনে ছিল অ্যাথলেটদেরই সাফল্য৷ সেই খ্যাতির চূড়ো থেকে নামতে নামতে দেশের অ্যাথলেটিকসের বিশেষত্ব বলে আর কিছু নেই৷ অ্যাথলেটদের মধ্যেও গৌরবের কিছু কাজ করে না, বেশিরভাগই ভুগছেন হতাশায়৷ ২০১৭ সালে কেনিয়ায় বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারে সেমিফাইনালে ওঠা জহির রায়হানের চোখে ছিল অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন৷ দু বছর বাদে তার সেই স্বপ্নদীপ জ্বলছে টিম টিম করে, ‘‘কোনো অ্যাথলেটকে দেশের মানুষ চেনে না৷ সবাই ছোটে ক্রিকেটারদের দিকে৷ অ্যাথলেটদেরও যেমন দায় আছে তেমনি অ্যাথলেটিকসের সামগ্রিক পরিবেশও বড় সাফল্য আনার উপযোগী ছিল না৷ এখানে কোনো উৎসাহ নেই, প্রণোদনা নেই৷ এমন অবস্থা হলে বড় অ্যাথলেট হওয়ার স্বপ্নটা থাকবে কী করে৷” বড় অ্যাথলেট হতে লাগে উন্নত ট্রেনিং, সরঞ্জাম, খাওয়া-দাওয়া ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা৷ এসব জায়গায় অনেক ঘাটতি দেখেন বিকেএসপির এই তরুণ, ‘‘দু বছর আগে কেনিয়ায় যেসব ভারত ও লঙ্কান অ্যাথলেটদের পেছনে ফেলেছিলাম তারা এখন অনেক এগিয়ে গেছে৷ আমি পড়ে আছি পেছনে৷ তারা অ্যাথলেটিকসের আধুনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে৷ সেই ব্যবস্থা আমি এখানে পাবো কোথায়৷ ফেডারেশনের কাছে চেয়েও লাভ নেই, তাদের দেওয়ার সামর্থ্য নেই৷’

    অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টুও স্বীকার করছেন, ‘‘তাদের সামর্থ্য কম৷ সরকার থেকে বছরে ১৯ লাখ টাকা পাই আমরা, তা দিয়ে মিটগুলোতে অংশ নিচ্ছি৷ বাড়তি কিছু করার পরিকল্পনা থাকলেও পারছি না অর্থ সংকটের কারণে৷ বিদেশী কোচ আনার চেষ্টা করেও পারিনি৷ তবে এ বছর সরকার ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য৷” তার নেতৃত্বে গত এক-দেড় বছর ধরে অ্যাথলেটিকসের চেহারা যেন একটু ফিরতে শুরু করেছে৷ এ বছর নির্বাচিত হয়ে ফেডারেশনে আসা এই সাধারণ সম্পাদক উন্নতির জন্য অ্যাথলেটদের চাওয়া অমূলক মনে করেন না, ‘‘অ্যাথলেটদের উন্নতির জন্য ভাল ট্রেনিং, খাওয়া-দাওয়া, আর্থিক প্রণোদনার খুব দরকার৷ নইলে তাদেরকে অ্যাথলেটিকসে ধরে রাখা এবং আন্তর্জাতিক সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে৷ অ্যাথলেটিকসের মান খারাপ বলে বড় স্পন্সররা আগ্রহী হয় না, তাই প্রথমে কয়েক বছর ভালভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভিত্তিটা আবার সুদৃঢ় হবে৷’

    এখন অ্যাথলেটিকসের ভিত্তি বলতে সার্ভিসেস দলগুলো৷ যেমন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, বিজেএমসি — এই দলগুলোতে অ্যাথলেটদের চাকরি হয় বলে খেলাটা এখনো বেঁচে আছে৷ অ্যাথলেটরাও আসেন এই চাকরির লোভে৷ দেশের অ্যাথলেটিকসের মূল উৎস দরিদ্র পরিবার৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অ্যাথলেটরা ন্যাশনাল মিটে ভাল পারফরম করলেই সার্ভিসেস দলগুলোর দুয়ার খুলে যায়৷ কম বেতনের হলেও এই চাকরি তাদের জীবনের বড় অবলম্বন৷ তাতে নিশ্চিন্তে থাকেন এবং বড় হওয়ার স্বপ্নটাও তাদের থেমে যায় ওখানে৷

    তাদের থামতেই হয়৷ ক্রিকেটের মতো তাদের স্বপ্নের আকাশ নেই৷ তারা ছোট খেলার ছোট খেলোয়াড়৷ যেখানে খেলার অধিকারের জন্য লড়তে হয়, সেখানে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি অনেক দূরের ব্যাপার৷ শত অপ্রাপ্তির ক্ষোভ-বিক্ষোভ বুকে চেপে তাদের কঠিন পারিপার্শ্বের ভেতর দিয়েই এগুতে হয়৷ এই টানাপোড়েনের ক্রীড়া সংসারেও হঠাৎ হঠাৎ খুশির হাওয়া বইয়ে যায়৷ কোনো অপ্রত্যাশিত সাফল্যে আনন্দের ধুম পড়ে ছন্নছাড়া ক্রীড়াঙ্গনে৷ এ-ও এক বিস্ময় বৈকি!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    cricket অন্য ক্রিকেট খেলাধুলা খেলোয়াড়দের নেই: বর্তমানও বাদে ভবিষ্যৎ
    Related Posts
    আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয়ি বাংলাদেশ

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ

    October 3, 2025
    Brazil

    বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় ব্রাজিল

    October 2, 2025
    বাংলাদেশ

    ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে অল্পতে বেধে রাখল বাংলাদেশ

    October 2, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Tigers vs Guardians game recap highlights and scores

    Tigers vs Guardians Game Recap, Highlights and Scores as Detroit Advances to ALDS

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হতেই নেট দুনিয়ায় ঝড়, সাহসী দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ!

    ড্রাগন ফল

    ড্রাগন ফল খেলে যা ঘটবে আপনার শরীরে

    Grand Canyon

    Government Shutdown: Are Grand Canyon, Yellowstone Parks Open?

    প্রশ্ন ও উত্তর

    মিথ্যা বলার পর শরীরের কোন অঙ্গটি গরম হয়ে যায়

    Fortnite Players Adapt to New Demon Rush LTM Mode

    Fortnite Unleashes K-Pop Demon Hunters in New Demon Rush LTM

    Delta Air Lines

    LaGuardia Airport Plane Collision: Delta Jets Clip Wings on Taxiway

    BCS

    ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কেন্দ্র শুধু ঢাকায়

    Web Series

    রিলিজ হল ঘাম ঝরানোর নতুন ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    NYT Strands Hints

    NYT Strands Hints and Answers for October 3, 2025 — Puzzle #579

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.