স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটাররা যেন সশরীরে ত্রাণ কাজে অংশ না নেয়। তাদের জন্য একটি নির্দেশিকা প্রনয়নের এটিই সেরা সময়। এমনটিই মনে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী মনে করেন, তিন ক্রিকেটার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনায় আক্রান্ত হবার পর এখন এই নির্দেশিকা প্রণয়ন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এরপর গেল শনিবার (২০ জুন) ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
দেবাশিষ চৌধুরী গতকাল (২১ জুন) সাংবাদিকদের বলেন, খেলোয়াড়দের প্রতি একমাত্র অনুরোধ তারা যেন ঘরেই থাকেন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া যেন বের না হন।
বিসিবির এই প্রধান চিকিৎসক বলেন, মাশরাফীর বিষয়টি সম্পুর্ন আলাদা। তিনি শুধু খেলোয়াড় নন। একজন সম্মানিত সংসদ সদস্যও। তাই আইনপ্রনেতা হিসেবে নিজের এলাকায় তাকে ত্রান কার্যক্রমে অংশ নিতে হয়। কিন্তু অন্যান্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে স্ব শরীরে গিয়ে ত্রান বিতরণের প্রয়োজন নেই।
ডা. দেবাশিষ বলেন, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মত সিনিয়র ক্রিকেটাররা মানুষকে সহায়তা করছেন। স্ব-শরীরে না গিয়ে ভিন্ন মাধ্যমে তারা এই মানবিক কাজ করছেন।
নাজমুল ইসলাম অপু ও নাফিস ইকবাল স্ব-শরীরে ত্রানকার্যে অংশ নিয়েছেন। ফলে জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবালের এই বড় ভাই সহ তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে অপুর বাবা-মা ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দেবাশিষ বলেন, ক্রিকেটারদের জন্য গাইডলাইন প্রনয়নের সময় এসে গেছে। করোনাকালে কোনো ক্রিকেটারই যেন স্ব-শরীরে গিয়ে ত্রাণ না দেন। মানুষকে সহায়তা করা মানবিক কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রিকেটাররা তা করবে। তবে এ বিষয়ে বিসিবির কোন নির্দেশিকা নেই। এখন সেটি করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।