Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ক্লাবপাড়ায় ৫০ গডফাদার, তালিকায় উঠে আসছে যাদের নাম
    বিভাগীয় সংবাদ

    ক্লাবপাড়ায় ৫০ গডফাদার, তালিকায় উঠে আসছে যাদের নাম

    ronySeptember 22, 2019Updated:September 22, 20199 Mins Read
    Advertisement

    জুুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চাশ মাফিয়ার নিয়ন্ত্রণে ঢাকার ক্লাবপাড়া। আর এই মাফিয়াদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। এই মাফিয়ারাই রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও নেপালের মতো বসিয়েছেন ক্যাসিনো। আর এই ক্যাসিনো থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। হয়েছেন বিত্ত-বৈভবের মালিক। এরই মধ্যে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ বিভিন্ন কৌশলে বিদেশে পাচার করেছেন। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া ক্লাবের পরিবেশকে বদলে দিয়ে করেছেন অপরাধের আখড়া। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব ক্লাবে আনাগোনা বাড়তে থাকে অপরাধজগতের মাফিয়া, ধনীর দুলাল ও সুন্দরী রমণীদের। এই মাফিয়ারা শাসক দলের হলেও কেউ কেউ একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর এরা ভোল পাল্টেছেন। ক্ষমতাসীন দলে যোগদান শুধুই নয়, বাগিয়ে নিয়েছেন পদপদবিও।

    ক্লাব
    ছবি : সংগৃহীত

    পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ক্লাবে দীর্ঘকাল ধরেই জুয়ার চর্চা ছিল। কিন্তু অনুমোদনহীন ক্যাসিনো কীভাবে হলো তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ক্লাবগুলোর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবাহনী-মোহামেডানসহ অন্য প্রায় সব ক্লাবেই জুয়ার প্রচলন ছিল আশির দশক থেকেই। সেটি করা হতো মূলত ক্লাবের পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য। তখন ক্লাবের সংগঠকরা রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না বরং ক্লাবগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা ছিল। ফলে খেলাধুলাতেও ক্লাবগুলো বেশ ভালো করেছিল। তখন মূলত ওয়ান-টেন নামে একটি জুয়া হতো, যেটি হাউজি নামে পরিচিত। সপ্তাহে কয়েক দিন হতো। ক্লাবের বার্ষিক দাতাদের বাইরের বড় আয় আসত এই হাউজি থেকেই। জানা গেছে, জুয়া হিসেবে তখন ক্লাবগুলোতে হাউজি, ওয়ান-টেন, রামিসহ কিছু খেলা চালু ছিল। আর বোর্ড বা জায়গা ভাড়া দিয়ে অর্থ আয় হতো ক্লাবের।

    বিদেশের মতো বিশাল বড় ফ্লোরে হাজার রকমের জুয়া খেলার যন্ত্রপাতির সমাহার না হলেও স্লট মেশিন কমবেশি সব ক্লাবে পৌঁছে গেছে গত পাঁচ-ছয় বছরে। মা*দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায়? অবৈধ মা*দক সেবনের খবর পেয়ে একটি অভিযান চালান বছর দুয়েক আগে। অভিযানে ক্যাসিনোর অস্তিত্ব পান। পরে সেটি বন্ধও হয়ে যায় বলে জানান তিনি। সেগুনবাগিচায় এটি বন্ধ হলেও পরবর্তী সময়ে মতিঝিল, কলাবাগান, তেজগাঁও এবং এলিফ্যান্ট রোডে জমজমাট হয়ে ওঠে কয়েকটি ক্যাসিনো। তবে নগরীতে ক্যাসিনোর ধারণা কলাবাগান থেকে শুরু হলেও এর নির্ভরযোগ্য আরেকটি জায়গা হয়ে দাঁড়ায় তেজগাঁওয়ের ফুওয়াং ক্লাব। মূলত তাইওয়ানিদের একটি দল ২০০০ সালের দিকে এখানে পানশালা-কাম-রেস্তোরাঁ চালু করে। পরে তাদের বিদায়ের পর বাংলাদেশি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার হাত ধরে চালু হয় ক্যাসিনো। এর মধ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মতিঝিলের ক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণ যায় যুবলীগের কয়েকজন নেতার হাতে, যারা পরবর্তী সময়ে নিজেদের মাফিয়া হিসেবে তৈরি করেন। জানা গেছে, এক প্রভাবশালী যুবনেতার নিয়ন্ত্রণে চলা ক্যাসিনো থেকে শুধু চাঁদা তোলার কাজ করে একসময় কাকরাইলের বিপাশা হোটেলের বয়ের কাজ করা জাকির হোসেন ও গুলিস্তানের হকার আরমান এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। নতুন মডেলের হ্যারিয়ার গাড়ি দাপিয়ে চাঁদা তোলেন আরমান। দুটি ক্যাসিনোর মালিকানাও রয়েছে তার। কোন ক্যাসিনোর চাঁদার পরিমাণ কত হবে চরম ক্ষমতাধর এক যুবলীগ নেতার সঙ্গে বসে ঠিক করে দিতেন আরমান। আর জাকির চাঁদা তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মাসোহারা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন। সিঙ্গাপুরে অভিজাত ক্যাসিনো মেরিনা বে’তে গিয়ে তারা জুয়াও খেলেন একসঙ্গে।

    ওই যুবলীগ নেতার নিয়ন্ত্রণেই মূলত ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব ও ভবনে বিদেশের আদলে অবৈধ ক্যাসিনো গড়ে উঠতে থাকে। আর এ খাত থেকে প্রতিদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা তুলতে থাকেন ওই যুবনেতা। একসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক প্রভাবশালী নেতাও পাল্লা দিয়ে ক্যাসিনো খোলার চেষ্টা করেন। একটি ক্লাবে তিনি তা খোলেনও। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া টেন্ডারবাজির পাশাপাশি ঢুকে পড়েন ক্যাসিনো জগতে। শুরুতে এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ওই যুবনেতা ও খালেদের মধ্যে শীতল যুদ্ধও চলছিল।

    ঢাকায় যাদের ক্যাসিনো ব্যবসা : গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও জুয়াড়িদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটান নেপালি নাগরিক দীনেশ ও রাজকুমার। প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতার তত্ত্বাবধানে এরা একের পর এক ক্যাসিনো খুলে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে দেশে পাচার করেন।

    ভিক্টোরিয়া ক্লাব : ২০১৫ সালে ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ক্যাসিনো খোলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ এ ব্যবসা শুরু করেন নেপালের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী দীনেশ ও রাজকুমার। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বিনোদ মানালি। নেপাল ও ভারতের গোয়ায় তাদের মালিকানায় ক্যাসিনো ব্যবসা রয়েছে। চালুর কয়েক মাসের মধ্যেই বাবা নামের এক নেপালি নাগরিকের কাছে ক্যাসিনোটি বিক্রি করে দেন তারা। তখন থেকে বাবা ও তার ম্যানেজার হেমন্ত মিলে ক্যাসিনোটি চালাতে থাকেন। ক্লাবের সভাপতি কাজল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন। প্রতিদিন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভাড়া নেন তারা। আর ওই যুবনেতাকে চাঁদা দিতে হয় দিনে ৪ লাখ টাকা। তার সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমান ও খোরশেদ প্রতিদিন গিয়ে চাঁদার টাকা নিয়ে আসেন। ক্লাবের সিসি টিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    কলাবাগান ক্লাব : ঢাকার নামকরা জুয়াড়ি শফিকুল আলম সেন্টু ২০১৬ সালে কলাবাগান ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও অজয় পাকরালের সঙ্গে। এখান থেকে প্রতিদিন ২ লাখ টাকা করে চাঁদা নিতেন এক প্রভাবশালী যুবনেতা। এখান থেকেও চাঁদা তুলতেন আরমান। অভিযোগ আছে, চাঁদার অঙ্কে বনিবনা না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ওই ক্লাব বন্ধ করে দেন যুবলীগ দক্ষিণের এক প্রভাবশালী নেতা। অনেক দেনদরবার করেও যা আর চালু করতে পারেননি সেন্টু। তবে ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ ওরফে কালা ফিরোজের নির্দেশনায় চালু হয় হাউজি ও জুয়া।

    উত্তরার ক্যাসিনো : দীনেশ ও রাজকুমারের অংশীদারিত্বে উত্তরায় এপিবিএন অফিসের উল্টো পাশে একটি ভবন ভাড়া করে চালু করা হয় আরেকটি ক্যাসিনো। তাদের পার্টনার হন তছলিম নামের এক স্থানীয় যুবলীগ নেতা। এরপর ওই এলাকায় প্রভাবশারী যুবনেতার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের মাধ্যমে আরও কয়েকটি ক্যাসিনো গড়ে তোলেন তারা, যার প্রতিটি থেকে দিনে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন আরমান।

    সৈনিক ক্লাব : মালিবাগ-মৌচাক প্রধান সড়কের পাশের একটি ভবনে সৈনিক ক্লাব। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের নামে এই ক্লাব চলে। আর এটি নির্ধারিত টাকায় ভাড়া নিয়ে ক্যাসিনো খোলেন যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও এ টি এম গোলাম কিবরিয়া। তাদের অংশীদার নেপালি নাগরিক প্রদীপ। এই ক্লাব থেকে প্রতিদিন ৪ লাখ টাকা চাঁদা পান ওই যুবনেতা।

    ঢাকা গোল্ডেন ক্লাব : বনানীর আহমেদ টাওয়ারের ২২ তলায় ঢাকা গোল্ডেন ক্লাব খোলেন চাঁদপুরের ব্যবসায়ী আওয়াল পাটোয়ারী ও আবুল কাশেম। ক্লাবটি চালুর কিছুদিনের মধ্যেই কৗশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বেড়ে যায় এক যুবনেতার মাসোহারার অঙ্ক। ওই সময় যুবলীগ নেতা আরমান জোর করে ক্লাবটির মালিকানায় ঢুকে পড়েন। নেপালি নাগরিক অজয় পাকরালের তত্ত্বাবধানে চলত ক্যাসিনোটি। এখান থেকেও ওই যুবনেতার জন্য প্রতিদিন ৪ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন আরমান।

    ওয়ান্ডারার্স ক্লাব : এই ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক হিলমি। তার এ-দেশীয় অংশীদার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবাশ্বের। মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে চলে এই ক্যাসিনো। এখান থেকে প্রতিদিন এক যুবলীগ নেতাকে দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন : মহিউদ্দীন মহির ইশারা ছাড়া ঐহিত্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন ব্রাদার্স ইউনিয়নের পাতাও নড়ে না বলে স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে। সন্ধ্যার পরই এই ক্লাবে চলে জুয়া আর হাউজি।

    দিলকুশা ক্লাব : এই ক্লাবের মালিক নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও ছোট রাজকুমার। ভারতীয় আরও দুজন অংশীদার থাকলেও তাদের নাম জানা যায়নি। এই ক্যাসিনো থেকে এক যুবনেতার চাঁদা প্রতিদিন ৪ লাখ টাকা। আরমানের নিজের চাঁদা ১ লাখ। ক্লাবটি চালু করতে ওই যুবনেতাকে অগ্রিম দিতে হয় ৪০ লাখ টাকা। আর আরমান অগ্রিম নেন ১০ লাখ। আরমানের ছোট ভাই ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযানকালে ধরা পড়লে তাকে এক বছরের সাজা দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    আরামবাগ ক্লাব : স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের তত্ত্বাবধানে একসময়ের ফুটপাত হকার মতিঝিল থানা যুবলীগের বর্তমান নেতা জামালের মালিকানায় ক্যাসিনো খোলা হয় আরামবাগ ক্লাবে। মমিনুল হক সাঈদ তার অলিখিত অংশীদার। আছে নেপালি অংশীদারও। এই ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয় দক্ষিণ যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতাকে।

    ফুওয়াং ক্লাব : তেজগাঁও লিঙ্ক রোডের ফুওয়াং ক্লাবে একসময় ম*দ বিক্রির পাশাপাশি নিয়মিত বসত ডিজে গানের আসর। কক্ষে কক্ষে চলত নাচ-গান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান দ্বিতীয় মেয়াদে ক্লাব মালিক নূরুল ইসলামের সঙ্গে তেজগাঁও জোনের এক পুলিশ কর্মকর্তার ঝামেলার কারণে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ডিজে আয়োজন। এরপর ওই কর্মকর্তার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ক্লাবের দোতলার হলরুমে বসানো হয় ক্যাসিনো। নেপালি সুন্দরী তরুণী ও তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে জাঁকজমকভাবে খোলা হয় ক্যাসিনোটি। ক্লাবটির একক মালিক নূরুল ইসলাম পুরস্কারঘোষিত এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর আত্মীয় হওয়ায় এই ক্লাবে যুবলীগ নেতার চাঁদার পরিমাণ কম। দিনে ২ লাখ টাকা।

    মোহামেডান ক্লাব : একসময় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে ১৯৯৪ সাল থেকে মোহামেডান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হন লোকমান হোসেন। বনে যান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। ২০১১ সালে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর সভাপতি পদ থেকে মোসাদ্দেক হোসেন ফালু সরে গেলেও থেকে যান লোকমান। ভোটবিহীন অবস্থায় দুই বছরের জন্য তিনি সদস্যসচিব নির্বাচিত হলেও এখনো তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। খেলোয়াড়দের কল্যাণ এবং ক্লাবের মানোন্নয়নের কথা বলে তিনি ক্যাসিনো বসান একক সিদ্ধান্তে। যদিও এখান থেকে অর্জিত কোনো টাকা তিনি ক্লাবের মানোন্নয়নে ব্যয় করেন না। ক্লাবে কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায় অভিযোগ করে বলেন, লোকমান অবশ্যই ক্যাসিনো থেকে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন বলে তিনি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন। শুধু লোকমান নন, তার অনুসারীরাও এ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচ্ছেন। বাদল রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মোহামেডানের উন্নয়নের কথা বলেছেন। অথচ লোকমান তা মানছেন না। আমরা চাই লোকমানের অপসারণ। তা না হলে এই ক্লাব ধ্বংস হয়ে যাবে।’ বাদল রায় বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম লোকমান বলেছেন, রাজনৈতিক চাপে তিনি ক্যাসিনোর জন্য কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন। আমি তা বিশ্বাস করি না। যদি রাজনৈতিক চাপই হতো, বিএনপির লোক হয়ে আওয়ামী লীগ আমলে তিনি বিসিবির পরিচালক পদে আছেন কীভাবে?’

    জানা গেছে, বনানীর ঢাকা গোল্ডেন ক্লাবের মালিক ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ও মতিঝিলের স্থানীয় যুবলীগ লীগ নেতা ইমরানের মালিকানায় মোহামেডান ক্লাবে চলছিল ক্যাসিনো। এর নেপালি অংশীদার কৃষ্ণা। রাজধানীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক ক্যাসিনোটিতে এরই মধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন আরমানের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা চাঁদা পেতেন দক্ষিণ যুবলীগের ওই নেতা।

    মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব : বিএনপির সময় ইব্রাহীমপুরের আবুল হোসেন লিটন ও তার স্ত্রী সুফিয়া মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে জুয়া ও হাউজি চালালেও ২০০৯ সালে তা নিজের দখলে নিয়ে নেন দক্ষিণ যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতা। তার চাচা হিসেবে পরিচিত পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আলী হোসেনকে সামনে রেখে এই ক্লাবে ক্যাসিনো চালু করেন। নেপালের দীনেশ ও রাজকুমার তার ব্যবসায়িক অংশীদার। আলী হোসেনের নামে ক্যাসিনোটি চললেও এর মূল মালিক ওই যুবলীগ নেতা। কিন্তু কাগজে-কলমে তার নাম নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    ইয়ংমেন্স ক্লাব : চারদিকে জুয়ার টাকা উড়তে দেখে লোভে পড়েন যুবলীগের আরেক নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া। স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে চেয়ারম্যান করে প্রতিষ্ঠা করেন ইয়ংমেন্স ক্লাব। ফুটবল, ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা বলে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার পর অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এনে নিজেই চালু করেন ক্যাসিনো। কমলাপুর আইসিডির কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চীন থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এনে বসান তার ক্যাসিনোতে। এখান থেকেও ৪ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন যুবলীগ দক্ষিণের এক প্রভাবশালী নেতা।

    অ্যাজাক্স ক্লাব : এলিফ্যান্ট রোডের অ্যাজাক্স ক্লাব চালু হয় যুবলীগ নেতা আরমান, তছলিম ও খোরশেদের তত্ত্বাবধানে। নেপালি নাগরিক ছোট রাজকুমারকে দিয়ে ক্যাসিনোটি চালু করেন তারা। এই ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন দক্ষিণের যুবলীগের পরাক্রমশালী নেতার পকেটে যেত ৩ লাখ টাকা।

    ইস্কাটন সবুজ সংঘ : একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবে খেলার বদলে চলে জুয়া আর হাউজি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর পর্যন্ত সপ্তাহের সাত দিনই চলে জুয়ার ব্যবসা। মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয় নানা ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যের। একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী তকমা পাওয়া এক ব্যক্তি ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন মাদারীপুরের সারোয়ার ও জামালের মাধ্যমে। তবে একজন সংসদ সদস্য ও যুবলীগের এক নেতাকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে আসছেন তিনি।

    জানা গেছে, গুলশান এলাকায় একাধিক বার ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কালা নাসিরের বন্ধু তালাল রিজভী নামের একজন। জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতার প্রত্যক্ষ মদদে তালাল রিজভীর ইশারায় ওই ক্লাবগুলোতে কয়েক দিন আগ পর্যন্ত চলত নানা ধরনের অপকর্ম। অন্যদিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দীন রতন তার এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী ও স্পোর্টস ক্লাবে হাউজি ও জুয়ার মদদদাতা।

    সূত্র : বিডি প্রতিদিন

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Harirampur

    হরিরামপুরে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ

    July 6, 2025
    Rocky Murder Case

    ‘একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা করব তাতে কিছুই হবে না’

    July 6, 2025
    ময়মনসিংহে বজ্রপাতে

    ময়মনসিংহে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু

    July 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Hulu Palm Springs (2020)

    Top 10 Most Popular Hulu Web Films of All Time: A Streaming Legacy

    Bkash Noor

    নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশ নানা ঝুঁকিতে থাকে : নুর

    Archita Pukham

    Archita Pukham Viral Video Download – Why Searching for It Destroys Your Digital and Personal Life

    youtube

    ইউটিউবে আসছে নতুন নিয়ম, এক ভুলে হারাতে পারেন চ্যানেল

    US immigration

    যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের ফ্ল্যাটবেড থেকে ১৩ অভিবাসী উদ্ধার

    Sakib Al Hasan

    যুক্তরাষ্ট্রের লিগে দল পেলেন সাকিবসহ বাংলাদেশের ৯ ক্রিকেটার

    Akhtar

    হাসিনা টুপ করে ঢুকে পড়লে আম গাছে বেঁধে বিচার করবে মানুষ: আখতার

    Rajshahi

    ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন: হাসনাত

    Sneha Paul

    Sneha Paul: The Chawl Sensation Who Set ULLU on Fire

    Lava Blaze AMOLED 5G

    Lava Blaze AMOLED 5G: বাজারে এলো ১৬ জিবি র‌্যামের সেরা স্মার্টফোন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.