জুমবাংলা ডেস্ক: রাত পোহালেই পহেলা ফাল্গুন। বসন্তবরণের মহাসমারোহ। একইদিনে এবার উদযাপিত হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। কিন্তু উল্লাস আর আনন্দের বিশেষ দুটি আলাদা দিবস একই দিনে হওয়ায় এবছর দেশের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মেহেরপুরের ফুল ব্যবসায়ীরাও। খবর ইউএনবি’র।
ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়ে একই দিনে জমে উঠবে দুটি উৎসব। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি রয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই চলতি সপ্তাহজুড়েই ফুলের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। এজন্য দামও থাকে বেশ বাড়তি। দুমাস পর রয়েছে পহেলা বৈশাখ, বাংলা বর্ষবরণ দিবস। এই দিবসগুলোকে কেন্দ্র করেই আশায় বুক বাঁধেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
ফুল ব্যবসায়ী টুটুল বলেন, বসন্ত উৎসব আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে লাল গোলাপ বিক্রি হয় ৫০ টাকা পিস । কোন কোন সময় তার চেয়েও বেশি। রজনীগন্ধ্যার একটি স্টিক ১০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ১৫ টাকা, একটি জারবেরা ২০ টাকা ও গ্ল্যডিওলাসের একটি স্টিক বিক্রি হয় ১৫/২০ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, দোকান চালানোর জন্য নিজের সাত বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল, রজনীগন্ধ্যা, চন্দ্রমল্লিকা, চেরিফুল ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ করেছেন। আর নিজের চাহিদার বাকি ফুল যশোরের গদখালী ও ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন।
চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় ১০ লাখ টাকার ফুল বেচা কেনার লক্ষ্য থাকলেও এবার বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় ব্যবসা এক-তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ার আশংকা করছেন মেহেরপুরের ফুল ব্যবসায়ীরা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয়না। কয়েক বছর আগে গাংনীতে একজন কৃষক চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে নতুনভাবে ফুল চাষের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ফুল বিক্রি শুরু হবে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার থেকেই ফুলের মালা ও খোঁপা তৈরিসহ নানান কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।