জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনা সদরের ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানকে তথ্য সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি বুধবার পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পৌঁছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তথ্য সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অসদাচরণের বিষয়টি তথ্য কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ সমীচীন নয় বলে মনে করে সরকার। বিষয়টি অপরাধমূলক কার্যক্রম উল্লেখ করে জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, দেড় বছর আগে মারা যান বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার পিআইও কামরুল হাসান। কামরুল হাসানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি গ্রামে। মৃত কামরুল হাসানের স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করেননি মর্মে নিজ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানের কাছে প্রত্যয়নপত্র চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র দেননি। পরে ওই নারী তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পর বিষয়টি জানিয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। শুনানি শেষে তথ্য কমিশন ইউনিয়ন পরিষদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বুধবার প্রজ্ঞাপনটি আমার অফিসে এসে পৌঁছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।