জুমবাংলা ডেস্ক : ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পভার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ব্রাজিলের সভাপতিত্বে গত ১৮ নভেম্বর রিওডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে এ জোটের সূচনা হয়। উদ্বোধনী সদস্য হিসেবে জোটটির মর্যাদাপূর্ণ বোর্ড অব চ্যাম্পিয়ন্সের অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বাসসের।
ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জি২০ সোশ্যাল সামিটে ন্যায়সংগত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে ভিডিও ভাষণে তাঁর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বৈশ্বিক অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে তাঁর ‘ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’র দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেন। দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওসহ ১৪৮ সদস্যের এই যুগান্তকারী জোট ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে একত্র হয়েছে।
আর্থিক সহায়তা ও স্কুলের খাবার কর্মসূচির মতো প্রমাণিত কৌশলগুলোর ওপর আস্থাশীল জোটটি বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই জোটে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে তাঁর জোরালো কূটনীতি ও অটল অঙ্গীকারের প্রমাণ।
এর আগে ১১-১২ অক্টোবর ব্রাসিলিয়াতে নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ক জি২০ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। তাঁর অংশগ্রহণ লিঙ্গসমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।