জুমবাংলা ডেস্ক: কুমিল্লার বিভিন্ন চরে ক্ষীরা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ক্ষীরা চাষে খরচ কম ও ফলন বেশি হয় বলে চরের কৃষকরা ক্ষীরা চাষে ঝুঁকছেন। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষীরার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে ক্ষীরার বাম্পার ফলন ও বাজার দর ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জানা যায়, কুমিল্লার মেঘনার লুটেরচর, বাটেরচর, আনারপুরা ও বড়াইকান্দি চরের কৃষকরা ক্ষীরার চাষাবাদ করছেন। চরের জমিগুলো ক্ষীরার সবুজ লতাপাতায় ভরে গেছে। কৃষকরা জমি থেকে ক্ষীরা তুলে বস্তা ভর্তি করে বাজারজাত করছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে ক্ষীরা উঠতে শুরু করেছে।
কৃষি বিভাগ সূ্ত্র মতে, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার চাষ হয়েছে। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন ক্ষীরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার চাষিরা বলেন, চরে পানি থাকার কারণে অন্যান্য ফসলের চাষ করা যায় না। তবে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ক্ষীরা চাষে খরচ কম হয়। ১ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষে মোট ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারে ক্ষীরার দাম ভালো থাকে। আমরা ক্ষীরা বিক্রি করে লাভবান হতে পারি।
সরেজমিনে মেঘনার চরে গিয়ে দেখা যায়, চরের পুরোটা জুড়ে শুধু ক্ষীরার চাষ হয়েছে। জমিতে কৃষকও তার পরিবার মিলে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ক্ষীরা তুলছেন, কেউ বাছাই করছেন, কেউ আবার সেই ক্ষীরা বস্তায় ভরছেন।
বাটেরচরের ক্ষীরা চাষি রফেজা বেগম বলেন, আমরা চরে থাকি। আমাদের এতো সম্পত্তি বা টাকা পয়সা নেই। ক্ষীরা চাষ করে আয় করে ভালো ভাবেই চলতে পারি।
কুমিল্লার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষীরা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে তাদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি। এতে চরের কৃষকরা দিন দিন ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং লাভবান হতে পারছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।