ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম: দেশের অন্যতম পাইকারি ভোগ্যপণ্য ও মসলার বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজসহ সব ধরনের মসলার দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
কুরবানি ঈদের আগে মসলার দাম বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও কমেনি। পেঁয়াজের দাম আবারও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে পাইকারি বাজারে। ফলে খুচরা বাজারেও দ্রুত এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
পাইকারি এই বাজারে গিয়ে দেখা যায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। দুইদিন আগেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এখন বেড়ে গিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার রিতাপ উদ্দিন বাবু জুমবাংলাকে বলেন, ভারত তার অভ্যন্তরীণ বাজার দর ঠিক রাখার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে দিয়েছে। ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে দেশের আমদানিকারকরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। এতে হঠাৎ করেই পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বিক্রেতা সৌদিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর শহীদুল আলম মোক্তার জানান, গতকালও বস্তাপ্রতি পাইকারি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্তু ভারতের শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই এখানে দাম এক লাফেই বেড়ে গেছে। আসলে এখানে কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে, খাতুনগঞ্জে জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও হলুদের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কুরবানির আগে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, ডলার সঙ্কট ও শুল্কহার বাড়ার কারণে আমদানি কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু এখন কুরবানি ঈদের মতো চাহিদা না থাকার পরও মসলাজাতীয় পণ্যের দাম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১০৬০ টাকা, কুরবানির ঈদের সময় দাম ছিল ৮৫০ টাকা। এলাচের দাম কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা প্রতি কেজি। কুরবানি ঈদের বাজারে মানভেদে এক হাজার ২৫০ থেকে দুই হাজার তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। দারুচিনি তখন ১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন উল্লেখ করার মতো দাম কমছে না। আজকের পাইকারি দাম হচ্ছে ৩১৫ টাকা। একইভাবে লঙয়ের দামও চড়াতেই রয়েছে। খাতুনগঞ্জে লঙ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি।
মরিচ-হলুদের দামও বেড়ে গেছে বাজারে। মাসখানেক আগে শুকনো মরিচের দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৬০টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় মরিচ ৪১০ টাকা আর দেশি মরিচ ৩৩০ টাকা। ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।