জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ফুড সেফটি অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি, কাউন্টারফিটিং অ্যান্ড এডাল্টারেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, “গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ অবদানের কারনেই দেশের এ অগ্রগতি। করোনা মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ- সবকিছুর পরেও খাদ্য শৃঙ্খল ও নিরাপদ খাদ্য ঠিক রাখতে হবে আমাদের। আর এজন্য সকল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা মানেই শুধু হোটেল রেস্টুরেন্ট নয়; চাল, গম, তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ এখানে সম্পৃক্ত। নিয়মমাফিক ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নে সহযোগীতা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। ব্যবসায়ীদের দাবির সাথে একমত হয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্তিসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানান তিনি। এছাড়া সব খাতেই কিছু অসাধু আছে উল্লেখ করে ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের অসাধু বলে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মোঃ আমিন হেলালী।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম রেজনু, সিআইপি বলেন, “বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। এ অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্যের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।”
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, দেশে নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করতে হবে।
বৈঠকে আরও কথা বলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, আবু মোতালেব, হাফেজ হারুন, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রশিদ, অন্যান্য সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।