আমরা বেশিরভাগই খাওয়ার সময় এক গ্লাস পানি থেকে এক বা দুই চুমুক গ্রহণ করি। যদিও আমরা এটিকে ক্ষতিকর বলে মনে করি, আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ছোট অভ্যাসটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। খাবারের সময় পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না খারাপ এই প্রশ্নটি প্রায়শই মিথ এবং মিশ্র মতামত দ্বারা ঘিরে থাকে। কেউ কেউ যুক্তি দেন যে এটি হজমে বাধা দেয়, অন্যরা দাবি করে যে এটি অন্ত্রে পৌঁছানোর পরে এটি শরীরের প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে।
অনেকের দাবি, খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা পাকস্থলীর অ্যাসিড এবং হজমকারী এনজাইমগুলোকে পাতলা করে, হজমশক্তি নষ্ট করে। কেউ কেউ দাবি করেন যে পানি পাকস্থলীর অ্যাসিড এবং হজমকারী এনজাইমগুলোকে পাতলা করে, হজমশক্তিকে ব্যাহত করে। অন্যরা দাবি করেন যে এটি খাবারকে ভেঙে ফেলতে এবং এটিকে আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে সরাতে সাহায্য করে।
খাওয়ার সময় খুব বেশি পানি পান করলে পেটফাঁপা বা অস্বস্তি হতে পারে। কারও কারও জন্য এটি পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে, যা আপনার খাবার উপভোগে বাধা দিতে পারে বা বদহজম হতে পারে। পানি খাবারের স্বাদের তীব্রতাকে হালকা করতে পারে। যারা সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
খাবারের সময় পানি পান করলে তা গিলতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। যদিও কেউ কেউ খাবারের সময় পানি খাওয়া নিয়ে বিতর্ক করে, অন্যরা এটি সমর্থন করে। পানি খাদ্যনালীর নিচে যাওয়ার কারণে খাবারের জন্য লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি গিলতে সহজ করে তোলে, বিশেষ করে শুষ্ক খাবারের জন্য। এই সুবিধা বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বা যাদের মুখ শুকনো বা গিলতে অসুবিধা আছে তাদের জন্য সহায়ক।
গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, খাবারের সময় পরিমিত পানি পান করলে তা আসলে হজমকে সহায়তা করতে পারে। এটি পুষ্টি দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে, নিশ্চিত করে যে আপনার শরীর তা দক্ষতার সঙ্গে শোষণ করে। পাকস্থলীতে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাসিডের মাত্রা সামঞ্জস্য করার ব্যবস্থা রয়েছে, তাই এক গ্লাস পানি খেলে তা বাধা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা আপনার পেট দ্রুত ভরিয়ে দিতে পারে। এটি অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সহায়ক কৌশল হতে পারে। খাবারের আগে বা খাবারের সময় পানি পান করলে তা আপনার খাওয়ার গতিকে ধীর করে দিতে পারে। খাবারের সময় হাইড্রেটেড থাকলে তা পরিপাকতন্ত্রকে মসৃণভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। পানি মল নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, যা শরীরের প্রক্রিয়াকরণ এবং বর্জ্য নির্মূল করা সহজ করে তোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।