আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘরেই ছিল পোষা বিড়াল। বাড়ির মালিকের সন্তানের খাবারের পাত্রে মুখ দিয়ে ফেলেছিল সে। আর বাধা দেওয়া সত্ত্বেও একজনের হাতে সে আঁচড় কেটে দিয়েছিল।
ব্যস! বাড়ির মালিক রেগে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে বিড়ালটির লেজে দড়ি বেঁধে ফেলে যুবক। সেই দড়ির একটা কোণা আটকে দেয় মোটরবাইকের পেছনে। এরপর দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা হলো বাদল শেখ এবং আসিফ আলি। ভারতের শান্তিপুরের মুন্সিপুল এলাকার বাসিন্দা বাদল শেখ এবং বেড়পাড়ার বাসিন্দা আসিফ আলি।
তারা শান্তিপুর থানায় হাজির হয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। আসিফের বাড়িতে ছিল ওই বিড়ালটি। ওইভাবে বিড়ালের লেজে বেঁধে রাস্তায় ঘষতে ঘষতে নিয়ে যাওয়া নজর এড়ায়নি কারও।
প্রীতম মজুমদার নামে এক যুবক তাদের পিছু ধাওয়া করে শেষপর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় বিড়ালটিকে উদ্ধার করেন।
সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে অধ্যাপক ড. সোমনাথ করের নেতৃত্বে একদল পশুপ্রেমী শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই প্রেক্ষিতে বেশ কিছুদিন লুকোচুরির পর রোববার রাতে অভিযুক্তরা শান্তিপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে। শান্তিপুর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমনাথসহ বেশ কয়েকজন পশুপ্রেমীকে ডাকা হয়।
তাদের সামনে ওই দুই যুবককে বসানো হয়। শেষে তাদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।