স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার মাটিতে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তার আগে বিশ্বকাপ পর্বও সুখের ছিল না। জাতীয় দলের পাশাপাশি ব্যর্থ ছিল অন্য বয়স ভিত্তিক দলও। তবে সাকিবের চোখ এখন সামনের দিকে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান টেস্ট দিয়েই শুদিনে ফিরতে চান সাকিব।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার সকাল থেকে অনুশীলন করেছে সাকিবরা। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন নিজের প্রত্যাশার কথা, ‘আমাদের শেষ কিছু দিন ভালো সময় কাটেনি। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেটেও সার্বিকভাবে ভালো কাটেনি। ‘এ’ দল বলেন, একাডেমি বলেন- কোথাও ভালো করতে পারিনি! কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ডে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের জন্য এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এই ম্যাচ ভালোভাবে জিততে পারি, তাহলে অনেক কিছুই আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। আশা করি জয় দিয়ে খারাপ সময়টাকে পেছনে ফেরতে পারবো।’
টেস্ট ক্রিকেটে নবীনতম দল আফগানিস্তান। তাদের বিপক্ষে প্রভাববিস্তার করে জেতার প্রত্যাশাটা করা যেতেই পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষ বিশ্বের সেরা স্পিন নির্ভর হওয়ায় সাকিব জয়ের বিষয়টা দেখছেন ভিন্নভাবে, ‘না, জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে আর খারাপভাবে নয়। ১ রানে জিতলেও সেটি জয়, ১০০ রানে জিতলেও জয়ই। ১ উইকেট হোক বা ১০ উইকেট, জয় জয়ই। জেতাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
আফগানদের বিপক্ষে জয় পেতে বোলিং বিভাগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। ২০ উইকেট নিতে না পারলে জেতার কোন সুযোগ তৈরি হবে না। সাকিবও মনে করেন তেমনটা, ‘আমরা ২০ উইকেট নিতে না পারলে জয়ের কোন সুযোগ থাকবে না। যারাই খেলবে, আমাদের চেষ্টা থাকবে ২০ উইকেট নেওয়ার। যত কম রানে ওদের আটকে রাখা সম্ভব, সেটাই করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের কাজটাও খুব সাধারণ, তাদের চেষ্টা করতে হবে যত বেশি রান করা যায়। সবমিলিয়ে মৌলিক কাজগুলো ঠিকমতো করতে হবে।’
তাই নিজেদের মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাক রাখতে না পারলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতা সহজ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংটা খারাপ হয়নি আফগানদের। তাদের ইতিবাচক বিষয়গুলোই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলেন সাকিব, ‘ওরা যখন ‘এ’দলের হয়ে এখানে খেলেছে কিংবা দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিও খেলেছে; সেখানে তাদের ওপেনাররা ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। ওরা নতুন হলেও টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। তাই খুব নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের যা করতে হবে, মৌলিক কাজগুলো ঠিকভাবে করতে হবে। মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে, জেতা কঠিন হবে না।’
আফগানিস্তান দলে পেসারদের সঙ্গে ভালো মানের বেশ কয়েকজন স্পিনারও আছে। যে কারণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। বিশেষ করে তামিমের না থাকাটা দলকে বাড়তি চাপে ফেলবে। যদিও সাকিব তার দলের ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা রাখছেন, ‘ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স করতে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে। কারণ ওদের যারা পেসার আছে, তারাও বেশ ভালো মানের। স্পিনাররা তো খুবই ভালো। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি আমার ব্যাটসম্যানদের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখছি। আসলে গত দুই সপ্তাহে যতটা প্রস্তুতি নিয়েছি, এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই। সবাই সবার জায়গা থেকে নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করি এর প্রতিফলন দেখতে পারবো।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।