স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিরূদ্ধে বাংলাদেশ যখন হারের প্রহর গুনছে ঠিক তখনই কাণ্ডারির ভূমিকায় আবির্ভূত হন তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হাসান। শুক্রবার সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে নিশ্চিত পরাজয় থেকে দলকে টেনে আনলেন ১৯ বছরের তরুণ। যেন টাইগারভক্তদের গোমড়ামুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করে বিসিবিকে বার্তা দিলেন জাতীয় দলে নিয়মিত দরকার আফিফের মতো ক্রিকেটারের।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উদিয়মান এই তরুণের জীবনে রয়েছে এক চরম কষ্ট। যে কষ্ট নীরবে একাই বহন করে বেড়ান তিনি। যখন মুখে কথা ফোটেনি, তখনই মাকে হারিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। জন্ম খুলনায়, বড় হয়েছেন ঢাকায় খালার কাছে। বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন কখনও ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। ২০১০ সালে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে আফিফকে ভর্তি করিয়ে দেন বাবা।
বিসিবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ভারতের সিএবি দলের বিপক্ষে চার ম্যাচে চারটি হাফসেঞ্চুরি করেন আফিফ। গত বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সবার নজর কাড়েন এই অলরাউন্ডার। এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) দারুণ পারফরম্যান্স আফিফের। ২০১৬ সালে বিপিএলে অভিষেক ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
আফিফের প্রিয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, কুইন্টন ডি কক। প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। প্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল।
আফিফের জন্য শুভকামনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।