জুমবাংলা ডেস্ক : বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের ২৩টি প্লট সরকারি খাস জমি দাবি করে দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এসব জমিতে অনেকেই গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। কারো বাড়ি নির্মাণাধীন। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ওইসব প্লট ও ফ্ল্যাট মালিকেরা। সংকট সমাধানে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ। আর খাস জমি উদ্ধারে কঠোর অবস্থানে ঢাকা জেলা প্রসাশন।
প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমি নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্প। অত্যাধুনিক হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলার সুবিধাসহ গড়ে তোলা হয়েছে রাজধানীর বুঁকে এক টুকরো শহর।
তবে হঠাৎ করেই বিপাকে এইচ ব্লকের বেশ কিছু প্লট ও ফ্ল্যাট মালিক। জমি কিনে বাড়ি করেছেন, বসবাসও করছেন, অথচ এখন হুট করে জেনেছেন তাদের বাড়ি সরকারি জমিতে। জেলা প্রসাশন থেকে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে লাল নিশান ও বিশেষ সতর্কবার্তা। কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেয়া হয়েছে কারও কারও প্লটে। এইচ ব্লকের ৯ নম্বর সড়কে ৩ কাঠার ১৫টি ও ৮ নম্বর সড়কের আরও ৮টি প্লট পড়েছে খাস জমিতে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘অ্যাসিল্যান্ড এসে লাল পতাকা দিয়ে গেছে। পরে এসে কাটা তার এবং এরও দুই দিন পর এসে সাইনবোর্ড দিয়েছে কোনো নোটিশ ছাড়াই। এ নিয়ে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। তারা এসে বলছে এটা সরকারি জায়গা।’
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের এভাবে হ্যারাজমেন্ট করার তো দরকার নেই।’
গ্রাহকের ভোগান্তির দায় কাঁধে নিয়ে জটিলতা নিরসনে কাজ শুরু কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কৃর্তপক্ষ।
বসুন্ধরা হাউজিংয়ের ডিএমডি বিদ্যুৎ ভৌমিক বলেন, ‘ওইটা তারা (প্রশাসন) আরএস থ্রুতে ক্লেইম করতেছে। আমাদের কিন্তু সিএস, এসএ আমরা প্রোপারলি (সঠিকভাবে) কিনেছি এবং সেটা সিটি জরিপেও কিন্তু এটা ওন করে। যেহেতু তারা অভিযোগ তুলেছে, আমরা চেষ্টা করছি সঠিক উপায়ে সেটা সমাধান করার।’
ঢাকা জেলা প্রশাসন বলছে, সিএস, এসএ, আরএস ও সিটি জরিপ অনুযায়ী ওই জমিগুলো সরকারি। আইনি প্রক্রিয়ায় যা দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, ‘সিএস, এসএ, আরএস ও সিটি সবগুলো রেকর্ডেই কিন্তু এই জমিগুলো খাস খতিয়ানভুক্ত। অনেকরই কিন্তু, যাদের সাথে তাদের কথা হয়েছে, এই দাগের দলিল না। হয়তো অন্যকোনো দাগে তাদের দলিল করে দেওয়া হয়েছে, দখল এইখানে বোঝায় দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘হাউজিং কর্তৃপক্ষ তাদেরই তো আসলে প্রথম দায়িত্ব বর্তায় যে তাদের যারা ক্লায়েন্ট আছেন, তাদের নিষ্কন্টক জমি বুঝিয়ে দেওয়া।’
প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে পড়া মালিকদের সংকটের সমাধান বসুন্ধরাকেই করতে হবে বলে মনে করে, ঢাকা জেলা প্রশাসন।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।