
জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
তার বাড়ি বাগেরহাট জেলোর কচুয়া উপজেলায়। তিনি শোলাডাঙা জোনের সহাকরী পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী ছিলেন।
কন্সটেবল মো. সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।
এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টায় খুলনা নিউ মার্কেট এলাকা থেকে বৃষ্টি ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা গণমিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিকেল ৩টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে গল্লামারী মোড়ে পৌঁছায়।
সেখানে বিপরীত দিক জিরো পয়েন্টের দিক থেকে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে যায়।
এ সময় জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শিববাড়ী মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় গল্লামারী মোড়ে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর গল্লমারী এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গুজব ঠেকাতে ব্যর্থতা ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel