লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি একটা বিরাট সমস্যা। আগে শুধুমাত্র শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই খুশকির সমস্যা দেখা দিত বা বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত দুষণের ফলে মোটামুটি সারা বছর এই সমস্যা লেগেই থাকে।
অত্যধিক চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ি এই খুশকি। তাই খুশকির সমস্যার সমাধানে সঠিক সময়ে তৎপর না হলে মাথা ভরা চুল ঝরে গেছে অল্পদিনের মধ্যেই।
খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়াই যায়। কিন্তু সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনও কখনও উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়। তাহলে উপায়?
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে যেগুলি খুশকির সমস্যা দ্রুত সমাধানদূর করতে একেবারে অব্যর্থ। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির দামও সামান্য। তাই অল্প খরচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকির সমস্যার সমাধান করুন।
১) পিয়াজের রস : দু’টো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পিয়াজের রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার পিয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
দুইশ বছর পর দেখতে পাওয়া যায় এমন তারিখ
২) নারকেল তেল : নারকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
৩) টকদই : খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) লেবুর রস : দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।