Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home যেসব কারণে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতি
অর্থনীতি-ব্যবসা জাতীয়

যেসব কারণে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতি

protikAugust 26, 2019Updated:August 26, 20194 Mins Read
Advertisement

বিজনেস ডেস্ক : ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে বিধান থাকলেও, তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১৩টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সরকারি চার ব্যাংকের মধ্যে সব চেয়ে বেশি প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে বেসিক ব্যাংকের। জুন শেষে ব্যাংকটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর পরই সোনালী ব্যাংকের ঘাটতির এক হাজার ৯৪২ কোটি ২০ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ৯৮২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং অগ্রণী ব্যাংকের ৮৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল টাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।

সূত্র আরও জানায়, ২০১৯ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। রাইটঅফ বা অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ যোগ করা হলে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে। এর আগে ২০১৮ সালের জুনে শেষে অবলোপন বাদে খেলাপি ঋণ ছিল ৯০ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে ১৩ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণেই ব্যাংকিং খাতে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ। আর এ সময়ে যেসব ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি খাতের ৯ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৬ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের তিন হাজার ৫৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫১১ কোটি ১১ লাখ, ঢাকা ব্যাংক ৩২৯ কোটি ৫৮ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১২৬ কোটি ৪৫ লাখ, ন্যাশনাল ব্যাংক ৭২৭ কোটি ৮৩ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ১০৩ কোটি ৩৪ লাখ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৩৭০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১০০ কোটি ৩৩ লাখ এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১৮৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

সূত্র আরও জানায়, কোনও কোনও ব্যাংক প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত (উদ্বৃত্ত) অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে রাখায় সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল ৭১ হাজার ২৪৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ফলে সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে মোট নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি ৯ হাজার ২১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একদিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে, অন্যদিকে বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত ঋণগুলো ঠিকমত আদায় হচ্ছে না। ফলে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ছে। ব্যাংকখাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, ব্যাপক অনিয়মসহ নানা কারণে ধারাবাহিকভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। সরকার খেলাপিদের একের পর এক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু খেলাপি ঋণ কমাতে পারছে না। এর কারণ ব্যাংকগুলোতে জবাবদিহি নেই, সুশাসনের অভাব। আগামীতে খেলাপি যেন আর না বাড়ে সে জন্য ব্যাংকগুলোকে দেখেশুনে ঋণ দিতে হবে। অনৈতিকভাবে পুনঃতফসিল সুবিধা নিতে না পারে তা তদারকি করতে হবে। বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন করা ঋণ যেন আদায় হয় সেই বিষয়ে কঠোর হতে হবে। সরকারি ব্যাংকগুলোকে অযথা সার্পোট না দিয়ে ঋণ আদায়ের ওপর চাপ দিতে হবে। একই সঙ্গে যেসব বেসরকারি ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি জরুরি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে তার বেশিরভাগই আমানতকারীদের অর্থ। তাদের অর্থ যেন কোনও প্রকার ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা আছে। এর একটি হলো প্রভিশন সংরক্ষণ। নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। যথাসময়ে আদায় না হওয়া নিম্নমান বা সাব স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলোর মুনাফা থেকে অর্থ এনে এ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বাড়লে, আর সে অনুযায়ী ব্যাংকের আয় না হলে প্রভিশন ঘাটতি দেখা দেয়।

প্রভিশন ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শেয়ারহোল্ডাদের জন্য কোনও লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ‘প্রভিশন অর্থনীতি-ব্যবসা কারণে ঘাটতি বাড়ছে: যেসব
Related Posts
বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

December 24, 2025
সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

December 24, 2025
ডিএমপি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৯২৫ মামলা

December 24, 2025
Latest News
বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

ডিএমপি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৯২৫ মামলা

ইনকিলাব মঞ্চ

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আর খারাপের দিকে যাবে না : অর্থ উপদেষ্টা

দীপু চন্দ্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

gold

স্বর্ণের দামে আবারও রেকর্ড, ভরি যত টাকা

উপদেষ্টা

নির্বাচন কমিশনে গেলেন ৪ উপদেষ্টা

ব্যাংক

একই ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট, এফডিআর ও ডিপিএস করা যাবে, সঠিক তথ্য জানুন

আইজিপি

নির্বাচনে আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন : আইজিপি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.