জুমবাংলা ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার দাবি করেছেন যে দেশে ১৯৯১ সালের তুলনায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। খবর ইউএনবি’র।
জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
মন্ত্রী জানান, ১৯৯১ সালে বিতরণ করা মোট ঋণ ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ছিল ৫ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। যা ২৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেয়া ঋণের পরিমাণ হলো ৯ লাখ ৬২ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ‘এর মানে হলো খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি।’
তবে মুস্তফা কামাল মনে করেন কোনো খেলাপি ঋণ থাকা উচিত না। ‘আমরা যদি খেলাপি ঋণের হার এক অংকে নামিয়ে আনতে পারতাম তাহলে ভালো হত। এ লক্ষ্যে আমরা যতটুকু পারি ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ব্যবস্থায় সমস্যার কারণে কিছু খেলাপি ঋণ তৈরি হয়। ‘ব্যাংকের সুদ সরল না হয়ে চক্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণে এর হার অনেক বেশি হয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১০০ কোটি বা তার বেশি টাকার শ্রেণিকৃত ঋণগুলো নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য সেল গঠন করতে সব তফসিলি ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কর পরিশোধ প্রক্রিয়া চলতি অর্থবছর থেকে পুরোপুরি ঝামেলামুক্ত করা হবে। এ জন্য শিগগিরই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।