স্পোর্টস ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক। শব্দ দুটি মেক্সিকান একটি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম। তাদের এমন শিরোনামের নেপথ্যে রয়েছে অদ্ভুত এক ঘটনা। মাঠে রেফারিদের প্রধান কাজগুলোর একটি থাকে নিয়ম-শৃঙ্খলা ঠিক রাখা। অথচ ম্যাচের রেফারি ফার্নান্দো হার্নান্দেজ নিজেই ভেঙেছেন নিয়ম। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তিনি পেয়েছেন কঠিন সাজা।
ঘটনা গত রবিবার রাতে; মেক্সিকান লিগে ক্লাব আমেরিকা–লিওন ম্যাচে। থ্রিলার ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে গেছে রেফারি-খেলেয়াড়ের মারধর কাণ্ডে। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ক্লাব আমেরিকা (১-১)। কিন্তু গোল বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন লিওন ডিফেন্ডার স্টিভেন বারেইরো।
ক্লাব আমেরিকার সমতাসূচক গোল বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ করায় রেফারি ফার্নান্দো হার্নান্দেজ গোমেজ হলুদ কার্ড দেখান লিওনের ডিফেন্ডার স্টিভেন বারেইরোকে। তাতে চটে যায় লিওনের অন্য খেলোয়াড়ররা। রেফারির সিদ্ধান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লুকাস রোমেরো।
রেফারির মুখের খুব কাছে গিয়ে ক্ষোভ নিংড়ে দেন তিনি। তাতে ক্ষেপে আগুন হন রেফারি ফার্নান্দো। হাঁটু দিয়ে রোমেরোকে গুঁতো মারেন তিনি। মাটিতে শুয়ে পড়েন রোমেরো। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। রোমেরোকে রেফারির মারার ভিডিও দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে মেক্সিকো ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে রেফারি ফার্নান্দোকে ১২ ম্যাচ নিষিদ্ধ করে এফএমএফ। ‘খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে হিংস্র আচরণে’র অভিযোগ ওঠে ফার্নান্দোর বিরুদ্ধে। রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণের দায়ে শাস্তি পেয়েছের রোমেরোও। তাকে দুই ম্যাচের নির্বাসন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দুই দলের দুই কোচকেও দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুই কোচের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং উসকানির অভিযোগ ওঠে। দুই কোচ আবার ডাগ আউটে বিবাদে জড়িয়ে ম্যাচ চলার সময়ই লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
সাকিবের জায়গায় ১ কোটি টাকা বেশি দিয়ে যে ক্রিকেটারকে নিলো কলকাতা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।