জুম-বাংলা ডেস্ক : ডলারের বাজার ফের অস্থির হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) একদিনেই খোলাবাজারে ডলারের দর আড়াই টাকা বেড়ে ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। এদিন আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার ১১৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ব্যাংকগুলোও নগদ ডলারসহ সব ক্ষেত্রেই ১১৯ টাকা দরে ডলার লেনদেন করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার খবরে কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ার কথা।
পাশাপাশি ডলারের দাম কার্ব মার্কেটে কমার কথা। কিন্তু ঘটছে উল্টো। এ জন্য নতুন কোন সিন্ডিকেট বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ১২৬ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর ৮ মে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালুর আগ পর্যন্ত ডলারের দর ১২১ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে উঠানাম করে। ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালুর পর ১২০ টাকার নিচেও নেমে আসে। যদিও বাজার ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার ১১৮ টাকা থেকে ১১৯ টাকা নির্ধারণ করে।
ছাত্র-জনতার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির আগ পর্যন্ত ১২০ টাকার নিচেই ছিল ডলারের দর। গত সপ্তাহের শেষ দিন খোলাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ও সোমবার খোলাবাজারে এই দরে ডলার বিক্রি হয়। মঙ্গলবার তা বেড়ে ১২৩ দশমিক ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে। এর মাধ্যমে এক লাফে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে মধ্যবর্তী দর ঘোষণা করা হয় ১১৭ টাকা। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ডলারের দর নির্ধারিত ছিল ১১০ টাকা। পরে ডলারের দর আরও বাড়িয়ে ১১৯ টাকা কড়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি মানিচেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার আমরা ১২৩ টাকায় ডলার কিনেছি। বিক্রি করেছি ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায়।
সোমবার বিক্রি করেছিলাম ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়। হটাৎ কেন দাম বাড়ল- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় ডলারের সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে। আবার যাদের হাতে ডলার আছে, আরও দাম বাড়বে- সে আশায় তারা বিক্রি করছে না। তাই দাম বাড়ছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ১১৯ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রেও একই দর নিয়েছে। অন্য সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোও সব ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়েছে ১১৯টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।