জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনের ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন ও দুই কিশোরকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা থাকবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা শহরের বারেক ডাক্তারের ছেলে আল আমীন এবং জাহাঙ্গীর খলিফার ছেলে মেহেদী ও মংমংরীর ছেলে উছেন। মেহেদী ও উছেনের বয়স ১৭ বছর। উছেন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বরগনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, মামলার বাদী ওই ছাত্রীর মা তালতলীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে তালতলীর বাসায় রেখে স্বামীকে নিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার খাতা আনতে যান। ওই দিনগত রাতে তার মেয়ে পাশের ঘরের একটি মেয়েকে নিয়ে রাতে বাসায় ঘুমায়। রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী মেয়েটির দাদি অসুস্থ হলে সে তার বাসায় চলে যায়। এ সুযোগে আসামিরা ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং সেই ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী ফজলুল হক তদন্ত শেষে ১২ জুন ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুই কিশোর ও এক যুবকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
আসামি মেহেদীর বাবা জাহাঙ্গীর খলিফা জানান, তার ছেলে নির্দোষ। তার ছেলের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়নি। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আসামি মেহেদী ও উছেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ১০ বছরের বেশি সাজা দেওয়ার বিধান নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।