স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের নির্বাচক সরাসরি বলে দিলেন, ‘কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেটা ভুল সেটা ভুল-ই। আমি কখনোই বলিনি পাকিস্তান না গেলে প্রেসিডেন্ট মুশফিককে বাদ দিতে বলেছে।’
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন নির্বাচক। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে হঠাৎ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মুশফিককে ডেকে পাঠিয়েছেন। তিনি মুশফিককে পাকিস্তান সফরে যেতে বলেন। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, যদি পাকিস্তান সফরে না যান তাহলে দ্বিতীয় ওয়ানডে দলে রাখা হবে না।’
মুশফিকও তাৎক্ষণিক জানিয়ে দেন তিনি পাকিস্তান যাবে না। মুশফিককে ‘হুমকি’ দেওয়া হলেও তেমন কিছু হয়নি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মুশফিক। এর আগেও একাধিকবার মুশফিক পাকিস্তান সফরে যাওয়ার বোর্ডের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। তাহলে কেন আবার তাকে ডাকা হবে?
মিনহাজুল আবেদীন এক প্রশ্নের জবাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, গণমাধ্যমে আসা খবর পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে তিনি মুশফিককে ডেকে পাঠিয়েছেন। সেটা কি রকম? তার দাবি, ‘টেস্ট ম্যাচের পরে ও যাবে কি যাবে না এ ধরনের খবর দেখেছিলাম। যেখানে এক পত্রিকায় ছিল, ও যাবে, আরেকটায় দেখলাম যাবে না। এজন্য ওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞেস করলাম, ও যাবে কি না, সিদ্ধান্ত বদল করল কি না। সবশেষ বলে দিয়েছে যে, ও যাবে না।’
মুশফিকের থেকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়ে এখন তাকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান সফরের দল চূড়ান্ত করবে নির্বাচক প্যানেল। তবে সম্ভাব্য যে খেলোয়াড়রা আছেন তাদেরকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলানোর কথা জানিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন। ফলে তৃতীয় ওয়ানডেতে মুশফিককে দেখা যাবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত করে দিয়েছেন তিনি। একাদশে না থাকলেও তাকে স্কোয়াডে রাখা হবে।
‘ও সরাসরি বলে দিয়েছে যাবে না। এখানেই এটা শেষ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে একটা ওয়ানডে আছে। তাই জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজটা যদি ২-০ হয়ে যায়, তাহলে শেষ ম্যাচের জন্য পাকিস্তানে যে দলটা খেলবে, সেই এগারোজনকে খেলার চিন্তাভাবনা করছি। ওকে স্কোয়াডে রাখা হবে। একাদশে থাকবে না।’ – বলেছেন মিনহাজুল আবেদীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।