২০২২ সালেও আবিষ্কৃত হয়েছে নানা নতুন প্রজাতির প্রাণী, আলোচিত হয়েছে বিশ্বদর্পণে। গত বছর আবিষ্কৃত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নতুন প্রজাতির প্রাণী নিয়েই আজকের এই আলোচনা। ২০২২ সালে ব্রাজিলে এক স্লথ প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আগে ভাবা হতো- ওই স্থানে শুধু এক প্রজাতির স্লথই বিদ্যমান। কিন্তু অঙ্গসংস্থানগত এবং ডিএনএ সংশ্লিষ্ট এক ট্যাক্সোনমিক (শ্রেণীকরণ) রিভিউ থেকে দেখা যায়, ওই স্থানে মোট দুই প্রজাতির স্লথ বিদ্যমান; নর্দার্ন (B. torquatus) এবং সাউদার্ন (B. crinitus)।
২০২২ সালে একটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে মাদাগাস্কার থেকে মোট ৮টি ক্ষুদ্রাকৃতির টিকটিকির সন্ধান মিলেছে, যাদের দৈর্ঘ্য হাতের তর্জনী আঙুলের চেয়ে বড় নয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই Lygodactylus fritzi (টিকটিকি) হচ্ছে Domerguella গণের। ধারণা করা হচ্ছে, আবিষ্কৃত ওই আট প্রজাতিই বিপন্ন হবার পথে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্সেস’ এর দুই হাই-স্কুল শিক্ষার্থী সম্প্রতি কাঁকড়াবিছার নতুন দুই প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। ‘হারপার ফোর্বস’ এবং ‘প্রকৃতি জৈন’ নামের ওই শিক্ষার্থীদ্বয় প্রজাতি শনাক্তে ব্যর্থ হলে বিজ্ঞান-বিষয়ক প্লাটফর্ম iNaturalist এর নিকট শরণাপন্ন হবার কথা ভাবেন। তবে গবেষণা এবং ফিল্ড-ওয়ার্কের প্রজেক্ট হিসেবে তারা তাদের গবেষক ড. লরেন এসপোসিতোর কাছে নিয়ে আসলে তিনি একটি কাঁকড়াবিছাকে নতুন প্রজাতি হিসেবে শনাক্ত করেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয় P. conclusus।
স্লাগ হলো মলাস্কা পর্বের খোলসবিহীন শামুকশ্রেণীর একপ্রকার প্রাণী। বিজ্ঞানীদের একটি দল ইউরোপে সবচেয়ে বৃহৎ ও গভীর গিরিখাত ‘তারা ক্যানিয়ন’ এ এই নতুন প্রজাতিটির সন্ধান পান।প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ ‘pseudo-’ নেওয়া হয়েছে গ্রিক ভাষা থেকে, যার মানে ভুয়া কিংবা ছদ্মবেশ। কারণ, স্লাগটি দেখলে প্রথম L. cinereoniger. প্রজাতির বলে মনে হয়।
ইকুয়েডরের সাঙ্গাই জাতীয় উদ্যানের দুর্গম এক অংশে আন্দিয়ান ইঁদুরের এক নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে।
ইঁদুরটির নাম ‘burneoi’ রাখা হয়েছে ইকুয়েডরের বিখ্যাত স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞ সান্তিয়াগো এফ. বার্নিয়োর নামানুসারে।
জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে খ্যাত উভচর স্যালাম্যান্ডারগুলো ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ২০১৮ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, চাইনিজ জায়ান্ট স্যালাম্যান্ডারের কমপক্ষে পাঁচটি আলাদা প্রজাতি রয়েছে। চীনের ঝিয়াংজি প্রদেশে আবিষ্কৃত নতুন প্রজাতিটি দক্ষিণ চীনের জায়ান্ট সালামান্ডার প্রজাতি থেকে আলাদা। প্রাপ্তিস্থান ঝিয়াংজির সাথে মিল রেখেই এর বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।