আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের কাছে এসে করুণ পরিণতির শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী। এসময় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এক হাজার ৭৮৬ জনকে। অতি সম্প্রতি হৃদয়বিদারক এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে স্পেনের কানারি দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে। দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী এই সপ্তাহান্তে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক অভিবাসন রুট থেকে তাদের বিপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
স্পেনের সংবাদ সংস্থা ইইএফের বরাতে সোমবার (৪ নভেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার উত্তর উপকূল থেকে স্পেনের কানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার জন্য নৌকায় যাত্রা করেন তারা।
সবচেয়ে ভয়াবহ এই ঘটনাটি একটি কাঠের তৈরি নৌকায় ঘটেছে, যা প্রায় তিন সপ্তাহ আগে উত্তর আফ্রিকার একটি স্থান থেকে রওনা হয়েছিল এবং শনিবার স্পেনের এল হিয়েরো দ্বীপের ৩৭০ কিলোমিটার (২২৯ মাইল) দক্ষিণে ভাসতে থাকে। ভূমধ্যসাগরের প্রস্থ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম। এর সর্বোচ্চ প্রস্থ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার।
যখন স্পেনের উপকূলরক্ষী বাহিনী সেখানে পৌঁছায়, তখন নৌকাটিতে মাত্র ১০ মানুষ বেঁচে ছিলেন। তারা জানান, জাহাজে মূলত ৫৮ জন যাত্রী ছিল, কিন্তু বাকি সবাই মারা গেছে এবং তাদের মৃতদেহ জাহাজ থেকে পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এরপর রোববার দুপুরে লাজারোট দ্বীপের উপকূল থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) দূরে একটি ডিঙ্গি ডুবে যায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করে, কিন্তু একটি উড়োজাহাজ থেকে একটি রাবারের ভেলা ছোঁড়ার পর ১৭ জনকে বাঁচাতে সক্ষম হয়। ওই একই অভিযানে ৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়, যারা কাছের আরেকটি ডিঙ্গিতে সমস্যায় পড়েছিল।
অন্য একটি অভিযানে কর্তৃপক্ষ একটি নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে, যিনি একটি ডিঙ্গি থেকে পড়ে যান, যা ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছিল। ডিঙ্গির অপর ৫৪ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সমুদ্রে মৃত্যুর পাশাপাশি, এল হিয়েরোতে পৌঁছানো অন্য এক অভিবাসী রোববার স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে আঘাতজনিত কারণে মারা যান। প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৮১৫ জনকে লাজারোট দ্বীপে, ৭৫৪ জনকে এল হিয়েরোতে, ১৫৭ জনকে ফুয়ার্তেভেন্টুরা এবং ৬০ জনকে টেনেরিফে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।